শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কলেজশিক্ষকসহ ৪ জনকে হাতুড়িপেটা
রাজবাড়ীর কালুখালীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কলেজশিক্ষকসহ ৪ জনকে হাতুড়িপেটা ও মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাস্তেখোলা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন, পাংশা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক (খন্ডকালীন) ম. সাদ্দাম হোসেন, তার স্ত্রী পলি খাতুন, শ্বশুর মোহাম্মদ আলী খা, ফুফু শাশুড়ি বলু বেগম। তাদেরকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ফুফু শাশুড়ি বলু বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলেজ শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এক মাস আগে মুঠোফোনে তার নিকট চাঁদা দাবি করা হয়। একই সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতেও চাদাঁ দাবি করা হয়। বিষয়টি পাংশার একজন নেতাকে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হন। আমার শ্বশুর একজন প্রবাসী। তিনি মাত্র ৪ দিন আগে বাসায় ফিরেছেন। তাকে দেখতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আমি গিয়েছিলাম। শুক্রবার ঈশার নামাজ পড়ে বাসায় কথা বলছিলাম। তখন বাস্তেখোলা গ্রামের সাহেবের ছেলে কালাম ওরফে দেবা এসে কথা আছে বলে বাইরে ডেকে নিয়ে যান। তার সঙ্গে বাইরে রেব হতেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। আমার চিৎকারে আমার শ্বশুর মোহাম্মাদ আলী, স্ত্রী আলপনা, ফফু শাশুড়ি বলু বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও হাতুড়িপেটাসহ মারধর করা করে। এ সময় হামলায় কালাম ওরফে দেবা, সম্রাট, বক্কারের ছেলে দলু ছিল। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।
হামলার ঘটনায় পাংশা সরকারি কলেজের শিক্ষক সমিতিসহ শিক্ষক, সুধী মহল তীব্র নিন্দা জানিয়ে। এছাড়া দোষীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুর রহমান বলেন, একটি হামলার ঘটনা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।