এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় চুক্তি
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এলএনজি সরবরাহে দেশটির কোনো প্রতিষ্ঠানের এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের চুক্তি বলে দাবি করা হচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বছরে ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরল গ্যাস সরবরাহ করবে।
গতকাল শুক্রবার আর্জেন্ট এলএনজি এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
আর্জেন্ট এলএনজি বর্তমানে লুইজিয়ানায় বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এলএনজি উৎপাদন সক্ষমতার অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। যা তাদের সরবরাহ ব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করবে।
যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, সেসব দেশে গ্যাস পাঠানোর ক্ষেত্রে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ লাইসেন্স স্থগিত করে রেখেছিল। তবে গত সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি রহিত করেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বর্তমানে বিশ্বের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারা ২০২৮ সালের মধ্যে সরবরাহের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায়।
এই চুক্তির মাধ্যমে নতুন মার্কিন প্রশাসনের জ্বালানিবান্ধব নীতিই প্রতিফলিত হলো।
আর্জেন্ট এলএনজি বছরে আড়াই কোটি টন এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতার একটি অবকাঠামো লুইজিয়ানায় গড়ে তুলছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
পোর্ট ফোরচনে তাদের প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে চুক্তি অনুসারে, এখান থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি পেট্রোবাংলার কাছে এলএনজি বিক্রি করতে পারবে।
এদিকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রয়টার্সকে বলেন, ‘এই চুক্তি কেবল আমাদের গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে।’
অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশ বাড়তে থাকা জ্বালানি চাহিদা পূরণে দীর্ঘমেয়াদী একটা সমাধান খোঁজার পাশাপাশি এলএনজির ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে এলএনজির দাম বেড়ে গেলে দেশটি কয়লাভিত্তিক জ্বালানির দিকে জোর দিতে শুরু করে।