ডাকাতির চেষ্টাকালে যুবক গ্রেপ্তার
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডাকাতির চেষ্টাকালে মিন্টু সিকদার (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবরে পুলিশ গিয়ে একজনকে আটকের পর ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি বাকেরগঞ্জের পূর্ব মহেশপুরের মোহাম্মদ বজলুর সিকদারের ছেলে। দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে সাত্তার মিস্ত্রির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সাত্তার মিস্ত্রি ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ডাকাত দল তাদের ঘরের চারপাশে থাকা ১২টি সিসি ক্যামেরার ৫টি ক্যামেরা ও বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য মিটার ভেঙে ফেলে। ঘরের ভিতর থেকে সাত্তার মিস্ত্রির পরিবারের সদস্যরা আচ করতে পারেন বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। জানালা খুলে অন্য বাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখতে পান বিদ্যুৎ আছে, তবে তার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। ঘরের পূর্ব পাশের একটি জানলার গ্লাসের লক ভাঙা, গ্রিল কিছু অংশ কাটা এবং ভাঁজ করা।
দ্রুত তারা এলাকার মসজিদের ইমাম মো. হারুনুর রশিদের কাছে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর চারদিক থেকে লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যান ডাকাতরা।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রত্যেকটা মসজিদে মাইকিং করা হয়। কয়েকটা গুলি সাদৃশ আওয়াজ শুনতে পাই। সম্ভবত ডাকাত দল যাওয়ার সময় গুলি করতে করতে গেছে।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধাওয়া করার একপর্যায় উপজেলার গোলখালী বাজার সংলগ্ন রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কর্দমাক্ত পায়ে দেখা যায়। সন্দেহভাজনকভাবে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় ডাকাতির প্রস্তুতির কথা স্বীকার এবং ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন।
আটক হওয়া মিন্টুকে নিয়ে সারাদিন অন্য আসামিদের ধরার জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। তবে অন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আটক হওয়া মিন্টু শিকদারের নামে কলাপাড়া ও মহিপুর থানায় ২টি ডাকাতি মামলা, বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল মেট্রোপলিটনে একাধিক চুরি মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
এ ঘটনায় হওয়া মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন মির্জাগঞ্জ উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামের সোবাহানের ছেলে মিলন। বাকের গঞ্জের মহেশপুরের মো. ইউসুফ জোমাদ্দারের ছেলে হাকিম, মির্জাগঞ্জের জয়নাল মোল্লার ছেলে মাইনুল এবং রাসেদুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন বলে জানায় পুলিশ।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, ইতোমধ্যে একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানেই লুকিয়ে থাকুক অন্যদেরও খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।