বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা চালু করা সম্ভব নয়: শ্রম উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২১:৪১
শেয়ার :
বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা চালু করা সম্ভব নয়: শ্রম উপদেষ্টা

শ্রমিকদের দাবিগুলো ‘অত্যন্ত অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে বেক্সিমকো গ্রুপের বন্ধ কারখানাগুলো পুনরায় চালু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. সাখাওয়াত হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। ড. সাখাওয়াত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক।

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আমরা একটা শান্ত পরিবেশে ছিলাম। হঠাৎ গতকাল তারা (বেক্সিমকোর শ্রমিকরা) সমাবেশ করে বলেছে তাদের তিনটা দাবি। দাবিগুলো আমার মনে হয় কোনো সরকারের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। অত্যন্ত অযৌক্তিক এসব দাবি। তারপরও তারা বলেছে মানববন্ধন করবে রাস্তাঘাট বন্ধ করবে। তারা করেছেও, আমরা কিছু বলিনি। পুলিশ মোতায়েন ছিল, আর্মি মোতায়েন ছিল, তারাও তাদের বাধা দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করেছিলাম তাদের (শ্রমিকদের) নেতা যারা আছেন তারা অত্যন্ত রেসপনসিবল। মনে করেছি এবং এখনো মনে করি তারা রেসপনসিবল হিসেবে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরবে। তাতে কোনো আপত্তি নেই। ’

ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত আরও বলেন, ‘গতকাল যা হয়েছে আপনারা জানেন। ১০০টির বেশি বাস জ্বালানো হয়েছে, বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। এটি করার কথা ছিল না। এটি কখনো হয়নি। হঠাৎ করে এটি কেন হলো, তা আমরা খতিয়ে বের করব।’

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘চরম ধৈর্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু সেই ধৈর্যের মর্যাদা তারা (শ্রমিকরা) রাখেননি। গতকাল মিটিংয়ের সময় সচিব কথা বলেছেন, ‘‘তখন তারা বলেছেন যে আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো শান্তিপূর্ণভাবে। আজকে তারা এসে কথা বলছে। যিনি আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনিও এসেছিলেন। এখন পর্যন্ত তো কারও গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। এখন তো দেখছি এটি আমাদের দুর্বলতা। অনেক পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশকে মেরেছে। এমনকি সেনাবাহিনীর গাড়ি পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে”।’

তাহলে কি বায়াররা আসতে পারবেন না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বায়াররা আসতে পারবে না, এই কারণে এই সম্পদের দায় কে নেবে? (বেক্সিমকো আর্থিক অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করে) এই অবস্থায় কারখানা চালানো সম্ভব কী? আপনি চালাবেন?’