পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে জেলার বোদা উপজেলার বালাভীড় নয়াবাড়ি গ্রামে শিশুরা শীত উপেক্ষা করে খেলায় মেতেছে। খেলার আনন্দ তাদের কাছে শীত হার মেনেছে।
এদিকে বোরো মৌসুম শুরু হওয়ায় কৃষকরার ধীরে ধীরে বোরো চাষে নেমে পড়ছেন। বুধবার সকালে জেলার বোসপাড়া গ্রামের কৃষক মহিদুল কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো চারা রোপন শুরু করেছেন। বানিয়াপড়া গ্রামের এক কৃষককে আলু ক্ষেতে কুয়াশা নাশক স্প্রে করতে দেখা গেছে।
পঞ্চগড়ে বুধবার সমগ্র এলাকা কুয়াচ্ছন্ন থাকলেও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তাপমাত্রা বাড়লেও কনকনে হাড় কাঁপানো শীতের আভাস আছে এখনো।
এদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সকাল ৯টায়ও ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। প্রতি ঘন্টায় বাতাসের গতি বেগ ছিল ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আজ এ অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দর্জিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আয়ুব আলী বলেন, ‘এই শীতে মানুষ ঘর থেকে বের হয় না। কিন্তু আমাদের জীবিকার তাগিদে মহানন্দা নদীতে নেমে বরফ গলা পানি থেকে পাথর উত্তোলন করতে হচ্ছে।’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আজ বুধবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরের হীমশীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারী মাস জুড়ে শীতের প্রকোপ থাকবে।’