ভারতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৪ মাওবাদী নিহত
ভারতে ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের সীমানায় জঙ্গলের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে আছেন মাওবাদীদের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য চলপতি, যার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। গতকাল সোমবার রাতে ‘এনকাউন্টারে’ মাওবাদীরা মারা যান বলে দাবি করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এনকাউন্টারে জয়রাম রেড্ডি বা চলপতিসহ ১৪ জন মাওবাদী মারা যায়। চলপতির বয়স ছিল ৬০-এর মতো। অন্ধ্রপ্রদেশের এই মাওবাদী নেতা ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলার কৌশল ঠিক করতেন। তার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। তাকে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনী খুঁজছিল।
সোমবার রাতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড , সিআরপিএফ এবং ছত্তিশগড়ের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী কোবরা এবং ওড়িশার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ এই অপারেশনে অংশ নেয়। তাদের কাছে আগে থেকে খবর ছিল, মাওবাদীরা ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমান্তের কাছে জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
এনকাউন্টারের পর প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক, গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। এখন ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে।
কে এই চলপতি?
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
চলপতি আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের বাসিন্দা। কিন্তু তার কর্মক্ষেত্র ছিল ছত্তিশগড়ের বাস্তার এলাকার অবুঝমাড়ের জঙ্গল। কিন্তু অবুঝমাড়ে সম্প্রতি তাদের তৎপরতা অনেকটাই বাড়িয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাই চলপতি তার আগের জায়গা ছেড়ে ছত্তিশগড়-ওড়িশা সীমান্তের কাছে চলে আসে। চলপতি মূলত মাওবাদীদের আক্রমণ-কৌশল তৈরি করতেন। তাকে ঘিরে থাকতো আট থেকে দশজন সশস্ত্র মাওবাদী। চলপতি বর্তমানে মাওবাদীদের মধ্যে খুব বড় নেতা বলে পরিচিত। তাই চলপতির মৃত্যুকে বড় সাফল্য বলে মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী।