শেষ ক্ষণে ট্রাম্পের ‘শত্রু’দের ক্ষমা বাইডেনের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে তার মেয়াদ বাকি ছিল মাত্র ঘণ্টাকয়েক। এমন সময় অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল জো বাইডেনকে। ট্রাম্পের সমালোচক হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজনের জন্য আগাম ক্ষমার আদেশ জারি করলেন তিনি। ট্রাম্প-শাসনে তারা ‘অযৌক্তিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা’র প্যাঁচে পড়তে পারেন, এই শঙ্কা থেকেই শেষ মুহূর্তের এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট এ নেতা। খবর বিবিসির।
বাইডেনের আগাম ক্ষমা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস’-এর প্রাক্তন পরিচালক তথা বাইডেনের প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউচি, ‘জয়েন্ট চিফস অব স্টাফে’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মার্ক মিলি এবং ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলার তদন্তকারী হাউস কমিটির সদস্য ও কর্মীরা।
গতকাল ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার জন্য তার সমর্থকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই বছর নির্বাচনে জয় না পেলে সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হতেন ট্রাম্প। এদিকে, তার বিরুদ্ধে এই মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। তাই তিনি মসনদে বসার আগেই এই পদক্ষেপ করলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ‘আমাদের দেশের প্রতি তাদের (ক্ষমা পেয়েছেন যারা) অক্লান্ত প্রতিশ্রুতির জন্য আমাদের দেশ এই জনসেবকদের কাছে কৃতজ্ঞ। এই সরকারি কর্মচারীরা সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আমাদের দেশের সেবা করেছেন এবং অযৌক্তিক ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার যোগ্য নন তারা।’ জেনারেল মিলি অতীতে ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিবাদী’ ও ‘বিপজ্জনক’ বলেছেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হামলার প্রেক্ষিতে ট্রাম্পকে তিনি ‘বিশ্বাসঘাতক’ও বলেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই রিপাবলিকানদের নিশানায় প্রথম দিকেই রয়েছে তার নাম।
কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় মার্কিন সরকারের নীতি নির্ধারণে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ফাউচির।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস