হাজারীবাগের চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রুপের মূলহোতা গ্রেপ্তার
রাজধানীর হাজারীবাগে চাঞ্চল্যকর চাঁদাবাজির ঘটনায় রুজুকৃত মামলায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ গ্রুপের মূলহোতা এনামুল হক হৃদয়কে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির হাজারীবাগ থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাদারীপুরের কালকিনী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, হাজারীবাগ থানায় গত ১২ জানুয়ারি রুজুকৃত চাঞ্চল্যকর চাঁদাবাজির মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ দলের মূলহোতা এনামুল হক হৃদয়কে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদারীপুরের কালকিনী থানার কালকিনী বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মামলা রুজুর পরের দিন গত সোমবার হাজারীবাগের রায়েরবাজার এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ দলের অন্যতম সদস্য মো. রাতুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল হাজারীবাগ থানা পুলিশ ও ডিবি-রমনা বিভাগ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
প্রসঙ্গত, সেবা হোল্ডিং এর নিরাপত্তা প্রহরী গোলাম কিবরিয়া খান (৪৯) হাজারীবাগ থানায় গত ১২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে তার প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কর্তৃক চাঁদা দাবির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ১৫/২০ জনের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৭/৮টি মোটরসাইকেলে করে হাজারীবাগের রোড নং-৭/এ এর ধানমন্ডির ৩নং হোল্ডিং-এ নির্মাণাধীন ভবনের টিনের বেষ্টনীর ভেতর প্রবেশ করার চেষ্টা করে। ওই এলাকায় দায়িত্বরত হাজারীবাগ থানা পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিক বাধা দেওয়ার কারণে তারা ভবনের সামনে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে ভবনের নিরাপত্তা বেষ্টনী পুড়িয়ে দেয়। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে তারা তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ৭/৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। এর আগে ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওই ভবনে প্রবেশ করে এই সন্ত্রাসী দল মামলার বাদী গোলাম কিবরিয়াসহ নির্মাণ শ্রমিকদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইভাবে ২০২৫ এর ৫ জানুয়ারি এই সন্ত্রাসী দলের দুইজন সদস্য সেবা হোল্ডিং এর নির্মাণাধীন বিল্ডিংটিতে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে চলে যেতে বলে এবং এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এ সময় ভবন নির্মাণ কাজ চালু রাখতে হলে পঞ্চাশ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে মর্মে জানায়। এছাড়া আশপাশের আরও কয়েকটি নির্মাণাধীন প্রজেক্টের ম্যানেজারদের ফোন করে চাঁদা দাবি করে এ সন্ত্রাসী গ্রুপটি।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
গ্রেপ্তার এনামুল হক হৃদয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতক অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।