যে স্মৃতি ভোলা যায় না

বিনোদন সময় ডেস্ক
১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
যে স্মৃতি ভোলা যায় না

প্রত্যেকের জীবনেই এমন কিছু স্মৃতি থাকে, যা কখনোই ভোলা যায় না। যদিও মানুষ দুঃখের স্মৃতি ভুলতে চায়, মনে রাখতে চায় সুখেরটা। আর দশটা মানুষের মতো তারকাদেরও এমন অনেক স্মৃতি আছে; যা বারবার মনে পড়ে। শোবিজের কয়েকজন তারকার এমনই কিছু স্মৃতি নিয়ে আজকের এ আয়োজন-


মেহজাবিন চৌধুরী

আমি বড় হয়েছি দুবাইয়ে। তখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। সেবারই প্রথম সালোয়ার-কামিজ পরব। সব মিলিয়ে খুব উত্তেজনা আমার। দুবাইয়ে এক দর্জির দোকানে সালোয়ার-কামিজ বানাতে দিয়েছিলেন মা। কিন্তু সেখানে এতই ভিড় ছিল যে, ঈদের দিন ভোরে দর্জি সেই পোশাক দিলেন আমাকে। সকালে গোসল করে নতুন পোশাক পরলাম। নাশতা খেয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে বেড়াতে গেলাম। ক্লান্ত লাগছিল। বাড়িতে ফিরে দুপুরের দিকে মা-বাবাসহ ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে গেল। নিজের দিকে তাকাতেই কান্না পেয়ে গেল। আমার এত শখের ঈদের জামা ভাঁজ হয়ে গেছে। এখন কী করব। বিকালে কীভাবে এই জামা পরে বাইরে যাব। নিজে কাপড় ইস্ত্রি করতে পারি না। ভাবলাম, চেষ্টা করে দেখলে ক্ষতি কী? যেই ভাবা সেই কাজ। ইস্ত্রি গরম করে যেই না কামিজের ওপর রাখলাম, সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে গেল। সেদিন খুব খারাপ লেগেছিল।

আমিন খান

তখন আমার অভিনীত দু-একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ওই সময় এক শপিং মলে একটি মেয়েকে আমার ভালো লাগে (এখন যে আমার স্ত্রী)। এরপর ওর পিছু নিয়ে বাসা পর্যন্ত যাই। সেই থেকে প্রায়ই ওর বাসার সামনে বসে থাকতাম। এভাবেই দেখাদেখি চলতে থাকে। প্রথম দিকে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরে কিন্তু সে আমার অনুভূতি বুঝতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, আমি তাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এরপর প্রেম। এক পর্যায়ে বিয়ে করি আমরা।

আদিল হোসেন নোবেল

আমি তখন নবম শ্রেণিতে চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট হাই স্কুলে পড়ি। এটি ছেলেদের স্কুল ছিল। ভট্টাচার্য নামে আমাদের একজন স্যার ছিলেন। তার কাছে আমরা বিজ্ঞান বিভাগের সব বিষয় বাসায় গিয়ে পড়তাম। স্যারের কাছে আমরা ছাড়া আরও কয়েকজন মেয়ে পড়ত। ফলে স্যারের কাছে পড়তে যাওয়ার আগে বেশ ফিটফাট হয়ে যেতাম। অনেক সময় বাবার সুগন্ধিও ব্যবহার করতাম। সাইফুল নামে আমার একজন বন্ধু ছিল। সে আবার মেয়েদের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যেতে পারত। তার বাসায় মেয়ে বন্ধুদের যাওয়া-আসার ব্যাপারটি খুব স্বাভাবিক ছিল। একদিন শিল্পী নামের আমাদের একজন বন্ধু সাইফুলকে বলে, ‘আমরা প্রায়ই তোমার (সাইফুলের) বাসায় যাই, এবার কিন্তু আদিলের বাসায় যাব।’ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টিতে হ্যাঁ বললেও পরক্ষণে আমার কলিজা শুকিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। সাইফুল জানাল, শিল্পীসহ তারা আমার বাসায় আসছে। বাসার কাউকে না বলে আমি বাসা থেকে উধাও হয়ে যাই।

নুসরাত ফারিয়া

এটি একটি প্রেমের স্মৃতি, যা আমার জীবনে প্রথম এসেছিল। প্রথম ভালো লাগা। ২০০৮ সালের কথা। আমি তখন শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুলে পড়ি। সে সময় একটি ছেলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। একসময় সপ্তাহে এক দিন বাসার টিঅ্যান্ডটি টেলিফোন থেকে তার সঙ্গে কথা বলতাম। আমাদের ভালোবাসার প্রকাশটা দূর থেকেই হতো। ছেলেটি আমাকে খুবই ভালোবাসত। একদিন দুজনের মুখোমুখি দেখা করার সিদ্ধান্ত হলো। সেদিন তার সামনে গিয়ে আমি খুবই লাজুক হয়ে গিয়েছিলাম। ছেলেটি আমাকে একটি আংটি এবং একটি কার্ড দিয়েছিল, যা ছিল আমার জীবনের প্রথম উপহার।