দেশের শ্রমশক্তির অর্ধেকই উপার্জনহীন: আইএলও
দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শ্রমবাজারের বাইরে। দেশের জনসংখ্যার সম্ভাবনার চেয়ে এই পরিমাণ শ্রমশক্তি অপ্রতুল। এ ছাড়া রাজনৈতিক উত্তেজনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অমীমাংসিত ঋণ সমস্যা শ্রমবাজারে চাপ সৃষ্টি করায় বৈশ্বিক শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার স্থবির হয়ে পড়ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা- আইএলওর বিশ্ব কর্মসংস্থান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি-২০২৫ এর প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক কর্মসংস্থানের বাজার স্থবির ছিল। শুধু শ্রমশক্তির বৃদ্ধির কারণে কর্মসংস্থান সামান্য বাড়লেও বেকারত্বের হার ৫ শতাংশে স্থির ছিল। এতে তরুণ বেকারত্ব খুব বেশি কমেনি। এখনো এই হার ১২ দশমিক ৬ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ ছাড়া অনানুষ্ঠানিক কাজ এবং কাজের দারিদ্র্যতা পূর্ব-মহামারি পর্যায়ে ফিরে এসেছে। মর্যাদাপূর্ণ চাকরি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে নিম্ন আয়ের দেশগুলো।
বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে আইএলও প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৪৯.৫ শতাংশ, যেখানে নারী-পুরুষ বৈষম্য প্রকট। এতে পুরুষদের অংশগ্রহণ ৭৮.৫ শতাংশ এবং নারীদের মাত্র ২১.২৫ শতাংশ। বিশেষ করে নারীরা কর্মসংস্থানে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে কম উৎপাদনশীল খাতে অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া লিঙ্গ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বয়সের মোট যুবক-যুবতীদের মোট সংখ্যার শতাংশ (এনইইটি) যুবকদের অংশ ৩০.৯ শতাংশে রয়েছে, যেখানে পুরুষের হার ১১.১ শতাংশ এবং নারীদের হার ৪৯.৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এই প্রসঙ্গে আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন দক্ষতা উন্নয়ন, তরুণদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শ্রমবাজারের সুশাসন ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।