গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে, দাবিতে প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গৃহবধূ মাহমুদার আত্মহত্যার ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমেনা বেগম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা পর ৭/৮টি মোটরসাইকেল নিয়ে ১৪/১৫জন লোক মাহমুদার স্বামী ইমরানদের বাড়ির ওঠানে আসে। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে যাই। ঘরের ভেতর থেকেই ভাঙচুরের শব্দ পাই। আধা ঘণ্টা ভাঙচুর চালিয়ে তারা মোটরসাইকেলে করে আবার চলে যায়। পরে এসে দেখি ইমরানের বড় ভাই ওয়াসিমের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে তারা।’
নিহত মাহমুদার ভাসুর ওয়াসিমের স্ত্রী ফিলিপাইনের নাগরিক নাসিমা ওয়াসিম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মাহমুদার ছোট ভাই মামুনের নেতৃত্বে হামলাকারীরা আমাদের ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। প্রথমে তারা ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তারপর আলমারী ও শোকেসের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৭০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার, একটি ল্যাপটপসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমাদের প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।’
স্থানীয় অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘৭/৮টি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন লোককে চলে যেতে দেখলাম। পরে শুনতে পেলাম তারা ওয়াসিমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে গেছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘মাহমুদা নিহত হওয়ার ঘটনায় তার মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় একজন আসামি আটক আছে। প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি সকালে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ মাহমুদা আক্তার (৩৮)এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। নিহত মাহমুদা আড়ালিয়া গ্রামের ইমরানের স্ত্রী।