গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনে ভোট পেছাল ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটির আয়োজন পিছিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সব শর্তে রাজি না হওয়া পর্যন্ত এই ভোটাভুটি হবে না।
বিবিসির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, তেল আবিবের অভিযোগ, হামাস শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করতে চাইছে।
বৃহস্পতিবার সকালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু অভিযোগ করে বলেন, ‘হামাস শেষ মুহূর্তে ‘কিছু ছাড় জোর করে আদায়ের চেষ্টা করছে’। তাই হামাস ‘সব শর্তে রাজি না হওয়া’ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে না।’
এদিকে চুক্তি অনুমোদন করলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের কট্টরপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
বেন-গাভির একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যে চুক্তিটি হতে যাচ্ছে তা একটি ‘বেপরোয়া’ চুক্তি। এই চুক্তি হলে শত শত ফিলিস্তিনি যোদ্ধা মুক্তি পাবে। এছাড়া গাজার কৌশলগত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে যুদ্ধের অর্জনগুলো মুছে যাবে এবং হামাস অপরাজিত থাকবে।’
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলাদাভাবে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ অবসানে মূল মধ্যস্থতাকারী ছিল যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। আগামী রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।