সীমান্তে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না: সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক কুড়িগ্রাম
১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:৩৪
শেয়ার :
সীমান্তে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না: সারজিস

বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে হত্যা করা হয়েছে তার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয় সারজিস আলম। আজ বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে শহরে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর নাগেশ্বরীর নাখারগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আর যদি আমার কোনো ভাই বা বোনদের ওই সীমান্তে লাশ ঝুলে থাকে তাহলে কাঁটাতারকে লক্ষ্য করে আজকের মার্চ ফর ফেলানীর মত লং মার্চ করা হবে।আমরা স্পষ্ট করে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশকে একটি কথাই বলতে চাই, এই যে সীমান্ত হত্যা, তাঁরকাটা দেওয়ার নামে জোড় করে বাধা দেওয়ার যে প্রয়াস তা রুখে দেওয়ার জন্য নতুন করে যে অভ্যুথান হয়েছে এই অভ্যুথানের স্পুলিং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানী থেকে বলতে চাই আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে কোনো লাশ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে লাশ করা হয়েছে তার বিচার আন্তজাতিক আদালতে করতে হবে।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘ছাত্রজনতা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে সেই ছাত্র জনতা নতজানু পররাষ্ট্র নীতি মেনে নিবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা যদি ক্ষমতা আকড়ে ধরার জন্য কোনো দেশের দালাল হোন তাহলে তাদের পরিনতি খুনি হাসিনার মতো হবে।’

কুড়িগ্রাম জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর ফেলানি’। মার্চটি আজ সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রাম কলেজ মোড় স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভ থেকে শুরু হয়। এই লং মার্চের মাধ্যমে বিএসএফের বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা বন্ধ এবং ফেলানি হত্যার বিচারসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়।

মার্চ ফর ফেলানীতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, নির্বাহী সদস্য রিফাত রশিদ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল কাদের, নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে আহবায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহবায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম সহ অন্যান্য নেতারা। পরে কুড়িগ্রাম পাটেশ্বরী বাজার, মধ্যকুমরপুর, নাগেশ্বরী উপজেলা সদর হয়ে ফেলানীর বাড়ি গিয়ে শেষ হয়। পথে বিভিন্ন স্থানে ‘জুলাই বিপ্লবের’ ঘোষণা পত্রের ব্যাপারে সাধারণ জনগণের মতামত জানতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।