যুগান্তরের সম্পাদক হলেন কবি আবদুল হাই শিকদার
দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক হলেন কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার। আজ বুধবার দুপুরে যুগান্তর কার্যালয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এসময় যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম, গ্রুপ পরিচালক মনিকা নাজনীন ইসলাম, সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম ও এস এম আবদুল ওয়াদুদ তাকে স্বাগত জানান।
এসময় যমুনা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম আহমেদ, দৈনিক যুগান্তরের উপসম্পাদক-আহমেদ দীপু, এহসানুল হক বাবু, বিএম জাহাঙ্গীর ও আসিফ রশীদ, প্রধান বার্তা-সম্পাদক আবদুর রহমান, নগর সম্পাদক মিজান মালিক, প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিমসহ যুগান্তরের সব বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এর আগে সকালে আবদুল হাই শিকদার বনানী কবরস্থানে যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং মোনাজাতের মাধ্যমে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। আবদুল হাই শিকদার পত্রিকাটির সদ্যবিদায়ী সম্পাদক সাইফুল আলমের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
কবি আবদুল হাই শিকদার বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যতম সদস্য। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচিত দুবারের সভাপতি। ৪৪ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে তিনি স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম নিয়মিত সাহিত্য মাসিক ‘এখন’-এর প্রতিষ্ঠাতা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, আমার দেশ পত্রিকার সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, দেশের সরকারি বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ফিচার বিভাগ প্রধান, দৈনিক ইনকিলাবের ফিচার সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক, টাইমস বাংলা ট্রাস্টের ম্যাগাজিন ‘বিচিত্রা’ এর সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, দৈনিক মিল্লাত পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক, সাপ্তাহিক সচিত্র স্বদেশ এর সহকারী সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সম্পাদক এবং প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি প্রথিতযশা কলামিস্ট হিসেবেও পরিচিত।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ক্ষমতাচ্যুৎ আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে বিগত ১৫ বছর সাংবাদিকতার বাইরে থাকতে বাধ্য হন আবদুল হাই শিকদার। সাংবাদিকতার পাশাপাশি আবদুল হাই শিকদার দেশে-বিদেশে কবি, সাহিত্যিক ও নজরুল গবেষক হিসেবে পরিচিত। নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন তিনি। টিভি উপস্থাপক ও দেশের সমসাময়িক অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় আলোচক। এছাড়া তিনি অধ্যাপক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও গল্পকার। কবিতা, গবেষণা, শিশু-সাহিত্য, গল্প, রাজনীতি, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, ভ্রমণ ইত্যাদি বিষয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দেড় শতাধিক।