রাতে দেখা করতে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকার ভাই খুন
কক্সবাজারের মহেশখালীতে রাতে দেখা করতে বাধা দেওয়ায় প্রেমিক ও তার স্বজনদের শাবলের আঘাতে প্রেমিকার চাচাত ভাই নুরুল নবী (২০) খুন হয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক একই এলাকার ফরিদ আলমের ছেলে। ওই সময় কালা বাশি, সাইফুল, ফরিদ, ইবরাহীম, মুকসুদ, নুর, তারেকসহ আরও কয়েকজন জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার রাতে একই ইউনিয়নের সিপাহী পাড়ার ফরিদ মিয়ার ছেলে সাগর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে মাইজপাড়া গ্রামে যান। সেখানে তাদরকে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ধৃত করেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মেয়ের চাচা ফরিদুর আলমকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর ফরিদ আলম মোবাইলে কল করে ছেলের বাবা ও স্বজনদের খবর দেয়। তারা আসলে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার শর্তে সাগরকে ছেড়ে দেন প্রেমিকার স্বজনরা।
এ ঘটনা লোকেমুখে জানাজানি ও সম্মানহানি করার ক্রোধে ফরিদ মিয়া ও তার ছেলে সাগর নেতৃত্বে সিপাহী পাড়া ও আর্দশ গ্রাম থেকে ২০-৩০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এনে ফরিদুল আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা নুরুনবীসহ কালা বাশি, সাইফুল, ফরিদ, ইবরাহীম, মুকসুদ, নুর, তারেকসহ আরও কয়েকজনকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা আহত নুরুনবীকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, শফি আলমের মেয়ে ও সিপাহি পাড়ার সাগর নামে এক যুবক প্রেমের সম্পর্কে রাতে দেখা করতে আসলে তাদেরকে স্থানীয়রা ধরে ফেলেন। এ ঘটনার জেরে ছেলে, ছেলের বাবা ও স্বজনরা এসে হামলা চালিয়েছে শুনেছি। এ ঘটনা নুরুনবী নামে একজন নিহতসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।
মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ বলেন, ‘পাশের গ্রামের সাগরের সাথে মাইজপাড়ার এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলমান ছিল। এরই সূত্র ধরে রাতে প্রেমিক প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যান। কিন্তু এলাকাবাসী তাদেরকে দেকে ফেলেন। পরে মেয়ের পরিবার ছেলের পরিবারকে খবর দেন। সে সময় এ বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের বাকবিতন্ডা হয়। এরই জেরে পরে সাগরের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে পুনরায় মেয়ের বাড়িতে হামলা চালান। হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কিশোরীর চাচাত ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’