বাংলাদেশকে জবাব দিতে পাঁচটা ড্রোনই যথেষ্ট: শুভেন্দু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪:৩৮
শেয়ার :
বাংলাদেশকে জবাব দিতে পাঁচটা ড্রোনই যথেষ্ট: শুভেন্দু

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের নেতা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে জবাব দিতে পাঁচ থেকে সাতটা ড্রোনই যথেষ্ট। তাতেই ওদের অবস্থা ওসামা বিন লাদেনের থেকে খারাপ হয়ে যাবে।’

কলকাতায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় ভারতের সামরিক শক্তির প্রসঙ্গ তুলে বাংলাদেশকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তার দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটে বাংলাদেশের তরফে ট্যাঙ্ক মোতায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওদের মনে রাখতে হবে এখন আর ট্যাঙ্ক বা বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ হয় না।’

শুভেন্দু বলেন, ‘ভারত এখন গোটা বিশ্বের তৃতীয় সামরিক শক্তিধর দেশ এবং অত্যন্ত দায়িত্বশীল। দুর্বল দেশকে কখনও আক্রমণ করে না।’

বাংলাদেশের সমন্বয়কদের নাবালক মন্তব্য করে শুভেন্দু বলেন, ‘ওরা জানেনা আমাদের সেনাবাহিনী বা বিএসএফ পাঠানোর দরকার হবে না, আমরা এখন ড্রোনেই বেশি উন্নত।’

বালুরঘাট সীমান্তে কটা ট্যাঙ্ক প্রসঙ্গে এ বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘ওরা (বাংলাদেশ) বালুরঘাট সীমান্তে কটা ট্যাঙ্ক নিয়ে এসেছে। সেগুলোকে শ্যাওলা, খড়গাদা দিয়ে সাজিয়েছে। কিন্তু আমাদের ট্যাঙ্ক লাগেনা, কারণ ট্যাঙ্ক দিয়ে এখন আর যুদ্ধ হয় না, বন্দুক দিয়ে যুদ্ধ হয় না, জনবলও লাগেনা। আসলে ওরা ৬০-৭০ এর দশকে আছে। এখানে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে টিপবে আর ওখানে ধপাধপ ধপাধপ হয়ে যাবে।’

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এটিবি) সদস্যদের গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীরাও পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১৫ বছর ধরে লুকিয়েছিল। একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার সেজে ঠাকুরনগরে ছিলেন, সেখানেই মারা গেছে। অন্যজন মাস্টার মাজেদ তিনি পার্ক সার্কাসে ছিলেন ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাকে ২০২২ সালে এখন থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সেদেশে ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর করেছে।’

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কারাগার থেকে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক চালানো নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের কারাগারগুলো আসলে কারাগার নয়, সেগুলো ফাইভ স্টার। এখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায়, গাঁজা খাওয়া যায়, পয়সা দিলে এখানকার কারাগারে সব কিছু করা যায়। কোনো কারাগারেই জ্যামার নেই। অতএব পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এখানে রাষ্ট্রবাদী একটা সরকার দরকার, যে সরকার রাষ্ট্রের বিরোধী শক্তিকে, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্সে নীতি নিয়ে খতম করবে।’