ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ডাকা সম্মেলন প্রতিহত করার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২১:৩২
শেয়ার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ডাকা সম্মেলন প্রতিহত করার ঘোষণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগামী ১৮ জানুয়ারি জেলা বিএনপির ডাকা সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে দলটির একাংশ। আজ রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয় বিএনপির ওই অংশটি।

তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবির বাস্তবায়ন ও নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।

সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহসভাপতি অ্যাড. গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি জেলা বিএনপির সম্মেলন দলের নিবেদিত নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের কৌশলে একটি প্রহসনের সম্মেলন করার পায়তারা করছে একটি পক্ষ। জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের কাউন্সিলর রয়েছে ১৪১৪। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি এখনো ৬টি ইউনিটে এখনো ভোট করতে পারে নাই। ত্যাগী কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বড় অংশকে বাদ দিয়ে ভুয়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির কাউন্সিল করতে চায়।

তারা পূর্নাঙ্গ ভোটার তালিকা তৈরি না করে যেই প্রহসনের সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।

এ সময় সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বক্তারা জেলার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে ত্যাগীদের নিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে সম্মেলন করার দাবি জানান।

তারা বলেন, একটি পক্ষ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের নিয়ে দল ভারি করছে। যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রামদা নিয়ে শহরে মিছিল করেছে। ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে। এখন তাদের সহায়তা নিয়ে প্রহসনের সম্মেলন করার পাঁয়তারা করছে। তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আগামি ১৬ জানুয়ারি আমরণ অনশনসহ বৃহত্তর কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হবে।

সমাবেশে জেলার ৯ উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, আমরা ১৪টি ইউনিটের মধ্যে ৮টি ইউনিটের তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছি। যে ৬টি ইউনিট নিয়ে আপত্তি ছিল, এগুলোর তালিকাও সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শহরতলীর বিরাসার গ্যাস ফিল্ড স্কুল-এন্ড কলেজ মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।