৫ আগস্ট থেকে মর্গে কাবিলের মরদেহ, পরনের কাপড় দেখে শনাক্ত করলেন স্ত্রী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাছ ব্যবসায়ী কাবিল হোসেনের (৫৭) মরদেহ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে পড়ে ছিল মর্গে। অবশেষে দীর্ঘদিন পরে পরনের কাপড় দেখে শনাক্ত করলেন তার স্ত্রী সেলিনা বেগম।
গত ৫ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন কাবিল। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে কাবিলের মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী।
আজ রবিবার স্ত্রী সেলিনা বেগমের কাছে কাবিল হোসেনের মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পেশায় মাছ ব্যবসায়ী কাবিল হোসেন গত ৫ আগস্ট সকালে রাজধানীর মানিকনগরের বাসা থেকে বের হন। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাননি পরিবারের সদস্যরা। গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমের খবরে তারা জানতে পারেন, ঢামেকের মর্গে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের মরদেহ পড়ে আছে। পরদিন শনিবার মর্গে এসে মরদেহের পরনে থাকা পোশাক দেখে তা কাবিলের বলে শনাক্ত করেন তার স্ত্রী।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এরপর বিষয়টি শাহবাগ থানাকে জানায় ঢামেক কর্তৃপক্ষ। আজ সেলিনা বেগমের কাছে কাবিল হোসেনের মরদেহ হস্তান্তর করবে শাহবাগ থানা পুলিশ।
সেলিনা বেগম জানান, তার স্বামী কাবিল হোসেন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লায়। তবে কর্মসূত্রে তারা রাজধানীর মানিকনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ছয়জনের মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
লাশগুলোর মধ্যে রয়েছে অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২০), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২৫), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২২), অজ্ঞাতনামা নারী (৩২), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩০) ও এনামুল (২৫)।
লাশগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের পরিহিত আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে।