‘সংস্কৃতি চর্চার লীলাক্ষেত্র হবে ঢাকা’

বিনোদন প্রতিবেদক
১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৪
শেয়ার :
‘সংস্কৃতি চর্চার লীলাক্ষেত্র হবে ঢাকা’

‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- এই স্লোগান নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসর শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান রেইনবো ফিল্ম সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, ঢাকাকে আমরা একটি বহু সংস্কৃতি ও বহু ভাষাভিত্তিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত করতে পারব। সেই সংস্কৃতি চর্চার লীলাক্ষেত্র হবে ঢাকা।’

এ সময় নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘এমন চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের নিজেদের ছবিকে তুলে ধরতে পারছি। এমন গ্লোবাল প্লাটফর্মগুলোতে কীভাবে আরও আমাদের নিজেদের ছবিকে সমৃদ্ধ করতে পারি, সরকারের জায়গা থেকে আমরা এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’

উৎসব আয়োজক ও সিনেমা নির্মাতাদের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস, সংস্কৃতি- সেগুলো আপনারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে তুলে ধরুন, তাতে বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতিক বিকাশ ঘটবে। আর সেখানে সিনেমা একটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও উৎসব কমিটির নির্বাহী সদস্য জালাল আহমেদের সভাপতিত্বে উৎসবে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং চীনা চলচ্চিত্র প্রশাসনের আন্তর্জাতিক বিভাগের পরিচালক শু ইয়াং। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান আহমেদ মুজতবা জামাল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ব সিনেমার পাশাপাশি বাংলা সিনেমাও তুলে ধরার এমন আয়োজনের প্রশংসা করেছেন অতিথিরা। বিশেষ করে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই উৎসবে সহযোগিতা করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় এই উৎসবে চীনকে এবার ফোকাস কান্ট্রি হিসেবে মর্যাদা দেওয়ায় ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেছেন তিনি।

উৎসবের উদ্বোধনী সিনেমা হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে চীনের ‘মুন ম্যান’। গোটা আয়োজনে ৭৫টি দেশের ২২০টি সিনেমা দেখানো হবে। ভেন্যু হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মূল ও সুফিয়া কামাল মিলনায়তন এবং অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ। এ ছাড়া এবার যুক্ত হয়েছে নর্থ সাউথ ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়, এই দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনেও প্রতিদিন থাকছে সিনেমা প্রদর্শনী।

বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সিনেমার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ প্যানারোমা’য় এ বছর থাকছে মোট ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। এ তালিকায় থাকছে, বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’, ইকবাল এইচ চৌধুরীর ‘বলী’, আবদুল আহাদ তানভীরের ‘বাতাসের ফেনা’, শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘প্রিয় মালতী’, মেহেদী রনির ‘এখানে নোঙর’, ধ্রুব হাসানের ‘ফাতিমা’, তৌফিক এলাহির ‘নীল পদ্ম’, নিয়ামুল মুক্তার ‘রক্ত জবা’, আবদুল আহাদের ‘সহযাত্রা’ ও কুসুম সিকদারের ‘শরতের জবা’।