১২ নারী-পুরুষ-শিশুকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ
ভারতে ২ বছর কারাভোগের পর ১২ বাংলাদেশী নারী, পুরুষ ও শিশুকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
ভারত সরকারের দেয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পাচার হওয়া বাংলাদেশীদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফ, কাস্টম, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ সকালেই তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত আসা নারী ও পুরুষদের বাড়ি মাদারিপুর, বাগেরহাট ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে। ফেরত আসাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ২ নারী রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঞা জানান, ভাল কাজের আশায় তারা গত ৪ বছর আগে ভারতের কলকাতা শহরে যান। সেখানে বিভিন্ন দোকান, বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালত তাদের ২ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে জেলে পাঠান। সাজার মেয়াদ শেষে দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের মধ্যে চিঠি দেওয়ার পর বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া জানান, ফেরত আসাদের মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
(১) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার মো. সুমন সরকার (৩০)-এর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানা মামলা নং ৪১/৪২৬ তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ হাতিরঝিল থানায় মামলা নং ১৪/৫৫৬ তারিখ ০৭ মার্চ ২০২৩, সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা থানার মামলা নং ০৯ তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ , গাজীপুর টঙ্গী থানার মামলা নং ০৭, তারিখ ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ সালের আইনে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সর্বমোট ০৪ মামলার অভিযোগ রয়েছে।
(২) নরসিংদীর কাঁসারালকান্দি এলাকার মো. ওমর ফারুক (২৫)-এর বিরুদ্ধে ডিএমপি থানার মামলা নং ৩৩ তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২২ সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে।
(৩) খুলনার কাশেম নগর এলাকার মো. রিয়াজুল ইসলাম (২৫)-এর বিরুদ্ধে ডিএমপি কোতোয়ালী থানার মামলা নং ৩৩ তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২২ সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে।