পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৮
শেয়ার :
পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

পঞ্চগড় এবার মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহের কবলে পড়েছে। এই জেলার উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে । 

আজ শুক্রবার পঞ্চগড়ে সারাদেশের মধ্যে এবং মৌসুমীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। 

এবার এ মৌসমের দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে সমগ্র অঞ্চল। হিমশীতল বাতাসে হাড় কাঁপানো তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এলাকার জনজীবন। কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। হিমশীতল বাতাসে হাত পা অবশ হয়ে আছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছেন কর্ম ও শ্রমজীবী মানুষ।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৮৩ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। এর আগে বুধবার পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে জানুয়ারীর শুরু থেকে পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ৭ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। 

আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এবং একই সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল বাতাস। সকালের কনকনে শীতের মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন কাজের সন্ধানে। তবে এ রিপোট লিখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। 

গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন উত্তরের এই জনপদে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ওই তিন দিন পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি থেকে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে। তবে এ সময়ে কুয়াশার পরিমাণ কমে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দিনের বেলা ওঠে ঝলমলে রোদ উঠেছিল।

এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মানুষজন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।