ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার পরিকল্পনার যে জবাব দিল ইইউ
গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণে যেন মরিয়া হয়ে উঠেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেনমার্কের এই স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে।
গতকাল বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন একে ‘বেপরোয়া আজগুবি বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে। ইইউ রাষ্ট্রগুলি এটা নিশ্চিত করেছে যে ট্রাম্প যদি সেই দ্বীপটিতে আক্রমণ চালান তা হলে সেটিকে রক্ষা করতে তারা বাধ্য হবে।
ধারাবাহিকভাবে না হলেও দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি আবার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। তিনি মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে খনিজ-সমৃদ্ধ সুমেরু অঞ্চলের এই দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ পরিহার করতে অস্বীকৃতি জানান। এর আগে তিনি ডেনমার্কের উপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের সংকল্প প্রকাশ করেন যদি দেশটি তার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে অস্বীকার করে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র ব্রাসেলস কেন্দ্রিক ২৭ দেশের এই ব্লক অবশ্য ট্রাম্পের সঙ্গে বাকযুদ্ধ এড়িয়ে গিয়ে বলেছে তারা আসন্ন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছে। ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এমন এক প্রশাসন সম্পর্কে অনুমান করে আজগুবি বিষয় নিয়ে কথা বলছি, যে প্রশাসন এখনও ক্ষমতায় আসে নাই।’
আরেকজন মুখপাত্র বলেন, নীতিগতভাবে দেশগুলির সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। যখন জানতে চাওয়া হয় যে গ্রিনল্যান্ড কি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা আইনের আওতায় পড়ে যেখানে আক্রমণের ক্ষেত্রে ইইউ সদস্যরা পরস্পরকে সহায়তা করতে বাধ্য,কমিশনের মুখপাত্রী পাওলা পিনহো বলেন, বিষয়টা তাইই। তিনি বলেন, ‘তবে আমরা এমন একটা সম্পূর্ণ তাত্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলছি, যে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কিছু বলতে চাইবো না।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ গ্রিনল্যান্ড হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল এবং ইইউর সহযোগী অঞ্চল।
ট্রাম্প অনেকদিন ধরে প্রকাশ্যেই গ্রিনল্যান্ড দখলের কল্পনা করে এসেছেন। তিনি মঙ্গলবার বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্যই গ্রিনল্যান্ড আমাদের প্রয়োজন।’ তিনি যুক্তি দেন,‘মুক্ত বিশ্বের সুরক্ষার জন্য’ ডেনমার্কের উচিত হবে এটি ছেড়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস