শূন্যরেখায় গভীর রাতে বসানো বৈদ্যুতিক যন্ত্র সরাতে বাধ্য হলো বিএসএফ
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় লোহার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র স্থাপন করে। পরে পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতিবাদ জানালে সেগুলো সরাতে বাধ্য হয় বিএসএফ।
গতকাল বুধবার রাতে বিজিবির রংপুর-৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সদর ইউনিয়ন সীমান্তের শূন্যরেখার মধ্যে লোহার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বৈদ্যুতিক যন্ত্র স্থাপন করে বিএসএফ।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮২৯ নম্বরের ২ নম্বর উপপিলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের গাটিয়ারভিটা সীমান্তের শূন্যরেখার ৫০ গজ অভ্যন্তরে রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার বিএসএফের ৯৮ ব্যাটালিয়নের ফুলকাডাবরী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও যন্ত্র স্থাপন করে। পরের দিন ঘটনাস্থলে চাষাবাদ করতে যাওয়া কৃষকরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেন।
বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটি ও যন্ত্র সরিয়ে নিতে বলে বিজিবি এবং পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয়। পরে ওই সীমান্ত পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যায় বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে কোম্পানি কমান্ডারপর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘বিএসএফ জানিয়েছ, তাদের চা বাগানে নাকি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়, এজন্য যন্ত্র ও খুঁটি স্থাপন করেছিল। আমরা স্পষ্ট জানিয়েছি, শূন্যরেখার মধ্যে আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি অনুযায়ী কোনো স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। না জানিয়ে করা যাবে না। এ নিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। তারা নির্মিত স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে। চুপিসারে আর যেন না করে সেজন্য সর্তক দৃষ্টি রাখা হয়েছে।’