গাজায় ৫ শিশুসহ আরও ৪৯ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশুও রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এদিন উত্তর গাজার জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন। এছাড়া মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন আরও একজন। এছাড়া বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে চালানো আরেক হামলায় দুইজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ ইসরায়েলের হামলায় পাঁচ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এই অঞ্চলে এত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও শিশুদের এভাবে প্রাণ হারানো মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
আল-জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গাজার শেখ রাদওয়ান এলাকায় কলাব পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ দিনের একটি নবজাতক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। এ হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিন উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে একটি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় পরিবারটি ঘুমিয়ে ছিল। হামলার ফলে আশপাশের বাড়িগুলোও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অপরদিকে, গাজার দেইর এল-বালাহ শহরে জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির একটি গুদামে ইসরায়েলি হামলায় কেয়ার প্যালেস্টাইনের এক কর্মী নিহত হন। পাঁচ সন্তানের জনক ওই নিহত ব্যক্তি গাজার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এদিকে কেয়ার প্যালেস্টাইন বলছে, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৩৬৩ জন সাহায্যকর্মী নিহত হয়েছেন, যা একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ৪৫ হাজার ৮৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি মানুষ। আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একেবারে নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে।