হাসপাতালের সামনে ভ্যানগাড়িতে নারীর সন্তান প্রসব
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ভ্যানগাড়িতে বাচ্চা প্রসব করেছে এক প্রসূতি। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে। সদ্যোজাত শিশু ও মা সুস্থ থাকলেও শিশুটির ওজন কম হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, ভবেরচর হাসপাতাল রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের নয় মাসের গর্ভবতী স্ত্রী রুপালি আক্তার (২৫) গতকাল সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ সকালে তার প্রসব ব্যথা উঠলে সকাল ১০টায় তাকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়। বাচ্চার ওজন কম এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় ঢাকার কোনো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু রোগীর স্বজনরা তাকে সেখানে না নিয়ে গিয়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যানগাড়িতে করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ভ্যানগাড়ির ওপরে বাচ্চা প্রসব করে রুপালী।
রুপালীর বড় ভাই সজিব বলেন, ‘হাসপাতালের সামনে বাচ্চা হলো অথচ ভেতর থেকে কোনো ডাক্তার বা নার্স এগিয়ে আসলেন না। উনারা আমাদের রোগীকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছিলেন কিন্তু সেই সময়টুকু আমরা পাইনি।’
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান বলেন, ‘সকালে প্রসূতিকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উনার সর্বশেষ আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ১ হাজার ৩৫০ গ্রামের মত। এত কম ওজনের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্মের পর এনআইসিইউ সাপোর্ট দেওয়া লাগতে পারে। আমরা রোগীকে এনআইসিইউ সুবিধা আছে এমন কোনো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই। পরে শুনতে পাই ওনারা একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়েছিলেন সেখান থেকেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ হাসপাতালের সামনে তার বাচ্চা প্রসব হয়। আপাতত মা ও বাচ্চা সুস্থ থাকলেও বাচ্চাটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ রাখতে হবে।