সংবিধান সংস্কার /
রাষ্ট্রপতি ও তার ক্ষমতা প্রসঙ্গে নাগরিক কমিটির প্রস্তাবনা
জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন এবং কেউ দুইবারের বেশি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। সংবিধান প্রস্তাবনায় ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা’ সম্পর্কে এ দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা’ সম্পর্কে এ প্রস্তাবনায় নাগরিক কমিটি জানায়, রাষ্ট্রপতি রিপাবলিকের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হবেন। রিপাবলিকের সব কর্ম তার নামেই সম্পাদিত হবে ৷ জনগণের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। দুইবারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না। একজন রাষ্ট্রপতি পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংসদের উভয়কক্ষের যৌথসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। এছাড়া আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মনোনীত ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। এছাড়া অন্যান্য সাংবিধানিক পদেও আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগ দেবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ বা ক্ষমা ঘোষণা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সংসদের উচ্চ কক্ষের প্রস্তাব/পরামর্শ লাগবে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি যেকোনো আইন-বিধান-বিধি-প্রবিধান-নীতি বা চুক্তি/স্মারক অনুমোদন বা স্বাক্ষরের আগে সংবিধানিক হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে মতামতের জন্য পাঠাতে পারবেন। যেকোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কর্মবিভাগ সম্পর্কে তদন্ত/ নিরীক্ষার জন্য ন্যায়পালকে নির্দেশ দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এর পাশাপাশি অধ্যাদেশ প্রণয়নের আগে তা ক্রমানুসারে সংসদের উচ্চকক্ষ বা সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মতামত/পরামর্শ গ্রহণ করবেন তিনি। যেকোনো বিষয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি সংসদে প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি আরও জানায়, রাষ্ট্রপতির কাস্টিং ভোট থাকবে। রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধান থাকবেন এবং জরুরি অবস্থা বিষয়ে উচ্চকক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য সংসদের উভয়কক্ষের সভায় পাস হওয়া প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে আসতে হবে। নিম্নকক্ষের অনুপস্থিতিতে কেবল উচ্চকক্ষ প্রস্তাব পাঠাতে পারবে। জরুরি অবস্থা চলাকালীন মৌলিক অধিকার রদ করা যাবে না।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, কেবল সংসদ নেতার পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সময়ের আগে সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন।