মাদ্রাসাছাত্রী নিয়ে সাবেক যুবদল নেতা উধাও
বরিশালের হিজলা উপজেলার একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষক সাবেক যুবদল নেতা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাইভেট পড়তে গেলে মাদ্রাসা থেকে উধাও হন তারা।
ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সাবেক সভাপতি ও পাশের গৌরব্দী ইউনিয়নের একটি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন গাজী। তিনি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন। শিক্ষক হারুন এক সন্তানের জনক ও এলাকায় বখাটে শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। এর আগেও তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন।
মেয়ের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে হারুন মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়ত। প্রতিদিন দুপুর ২টার মধ্যে প্রাইভেট শেষে বাসায় ফিরে যায়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় আমার মেয়ে বাসায় না ফেরায় আমরা খোঁজাখুঁজি করি। একপর্যায়ে জানতে পারি হারুন মাস্টার মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছেন।’ এই ঘটনায় তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান।
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা কামাল হোসেন বলেন, এতে মাদ্রাসায় পড়াশুনার ওপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগেও তিনি একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বেপারী বলেন, এ ধরনের শিক্ষক যে প্রতিষ্ঠানে থাকবে সেখানে অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে ভর্তি করাবেন না। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যবস্থা না নিলে স্থানীয়রা কঠোর কর্মসূচি হাতে নেবে।
অভিযুক্ত মাস্টার হারুন গাজীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অবৈধ নয়, কয়েকদিন আগে আমরা বিয়ে করেছি।’ তবে কোথায় এবং কোন কাজীর মাধ্যমে জানতে চাইলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন তিনি।