প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বেলা ১১টায় স্থানীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা প্রশাসন পরবর্তী সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শফিক রেজার নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়। পরে মিছিলটি ভাণ্ডারিয়া বাজারের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে পৌঁছলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীরাজ ও পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামীম ফরাজীসহ ছাত্রদলের একটি অংশ তাদেরকে রিজার্ভ পুকুর পাড়ে আয়োজিত সভা মঞ্চে যেতে বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় পক্ষ পাইপ, লাঠি চাইনিজ কুঠার নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদেল সহসভাপতি মাহাতাব হোসেন সজিব (৩৮), মো. বাকী বেপারী (৩৫), সুজন বেপারী (৩১), নবীন ফরাজী (১৮), লোকমান সরদার (৩৮) এবং অপর অংশের মিজান হাওলাদার (৩৮) আহত হন।
আহত মিজান হাওলাদারকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল এবং বাকি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ারসহ পুলিশের একটি দল সংঘর্ষের সময় ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়ণে আনে।
আহত মাহাতাব হোসেন সজিব বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় শাহীরাজ ও শামীম গ্রুপ।’
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মনির হোসেন আকন জানান, গত ১০দিন ধরে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী কর্মসূচি পালন করার জন্য ছাত্রদলের উদ্যোগে প্রস্তুতি নেওয়া হয় এবং বুধবার বিকেলে রিজার্ভ পুকুর পাড়ে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীরাজ এবং উপজেলা যুবদলের বহিষ্কিৃত সদস্য সচিব শামীম হাওলাদার পৃথক কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেয়। এ কারণে দুই পক্ষকে কর্মসূচি পালনের জন্য পৃথক সময় নির্ধারণ করেও দেওয়া হয়। সকালে ছাত্রদলের সদস্য সচিব শফিক রেজার নেতৃত্বে ছাত্রদল তাদের নির্ধারিত সময় মিছিল নিয়ে বাজারে প্রবেশকালে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীরাজ উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব শামীম হাওলাদারের নেতৃত্বে ছাত্রদল ও যুবদলের একাংশের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়।
উপজেলা যুবলের সদস্য সচিব (বহিস্কৃত) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, ‘এ কর্মর্সূচি ছিল ছাত্রদলের, যুবদলের নয়। আমিসহ যুবদল নেতৃবৃন্দ সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করেছি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান (ক্রাইম ও অপারেশন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়ীয়া সার্কেল) মো. সাখাওয়াত হোসেন এবং ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াছিন আরাফাত রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।