অন্তরার স্বামী আসলে কী?

বিনোদন প্রতিবেদক
০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩:৫৬
শেয়ার :
অন্তরার স্বামী আসলে কী?

‘২ষ’র নতুন পর্ব ‘অন্তরা’। সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে এর ট্রেলার। সেখানে দুটি চরিত্রকে গুরুত্বের সঙ্গে পাওয়া গেছে। তাদের একজন নওশাবা, তিনি অভিনয় করেছেন অন্তরা চরিত্রে। অন্যজন, আফজাল হোসেন। তার নাম শোনা না গেলেও তাকে নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

ট্রেলারের সংলাপে আফজাল হোসেনকে উদ্দেশ করে শিশু কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি কি ভূত, জ্বীন নাকি শয়তান?’। অন্তরা চরিত্রের সংলাপে আছে- ‘অপনাকে যেন কবে থেকে চিনি? আপনার সঙ্গে আমার কবে দেখা হয়েছিল?’ এসব কথা জন্ম দিয়েছে রহস্যের। সে কারণে দর্শকদের প্রত্যাশাও রয়েছে সিরিজটি নিয়ে।

ট্রেলারের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই জানাচ্ছেন তাদের মতামত। একজন লিখেছেন, ’অন্তরার স্বামী আসলে কী? দেখতে হবে।’ আরেক দর্শক মনে করছেন, ‘অন্তরা’ পর্বটি ‘২ষ’ আগের দুই পর্ব ‘ওয়াক্ত’ ও ’ভাগ্য ভালো’-কে ছাড়িয়ে যাবে। অনেকেই ’২ষ’ সিরিজের বিষয়বস্তুর প্রশংসা করেছেন এবং ‘অন্তরা’ পর্বটি দেখার অপেক্ষায় আছেন।

সেই অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে। আজ বুধবার রাত ১২টায় চরকি প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ হচ্ছে ‘অন্তরা’। ২০২৫’র প্রথম কনটেন্ট হিসেবে এটি দেখতে যাচ্ছেন দর্শকরা। ‘২ষ’ সিরিজের তৃতীয় পর্ব এটি। নির্মাতা নুহাশ আগেই জানিয়েছিলেন, অতিপ্রাকৃতিক বিবাহিত জীবন নিয়ে গড়ে উঠেছে ’অন্তরা’র গল্প।

নুহাশ নির্মিত প্রথম সিজন ‘পেট কাটা ষ’তে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী নওশাবা। সিরিজে ’মিষ্টি কিছু’ নামের পর্বে দেখা যায় তাকে। অভিনেত্রী জানান, সেই পর্বের একটা ধারাবাহিকতা আছে ‘অন্তরা’র গল্পে। নতুন পর্বে তার চরিত্রটি রহস্যময়, যা ট্রেলার দেখে অনুমান করা যায়। সেই রহস্যটা ভাঙতে চাননি অভিনেত্রী।

বলেন, ’চরিত্রটা তো একটা জার্নি। এর মধ্যে নানাকিছু থাকে। ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন হয়ে যায়।’

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে নওশাবা বলেন, ‘গল্পে আগুনের সিন আছে। সেটা করতে গিয়ে সত্যি সত্যি শাড়ির আচলে আগুন লাগাতে হয়েছিল। বিষয়টা সহজ ছিল না। আগুন নিভতে নিভতে আমার শরীরের কয়েক জায়গায় পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। সেটা নেভাতে গিয়ে আমার এক সহকর্মীর হাতে জখম হয়েছে। এরকম আরও কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে আমাদের কাজটা।’

‘২ষ’ হরর ঘরানার সিরিজ হলেও মূলত সাইকোলজিকাল হরর বলে জানান নুহাশ। এখানে তিনি চেষ্টা করেছেন সমাজ ও ব্যক্তির সেসব বিষয়কে তুলে আনার, যা বর্তমান সময়ের দৈনন্দিন জীবনে ভয়ের সৃষ্টি করছে।

নির্মাতা বলেন, ‘তাই আমরা বলছি, ভূত-প্রেত নাকি মানুষ, কিসে বেশি ভয়? অন্ধকারের ভূতের চেয়ে সমাজের অনেক ইস্যু আমাদের মধ্যে বেশি ভয়ের সৃষ্টি করছে। “২ষ”-এ সেটাই বলার চেষ্টা করেছি।’