শি’র হুঁশিয়ারি /

‘চীন থেকে তাইওয়ানকে কেউ আলাদা করতে পারবে না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৮
শেয়ার :
‘চীন থেকে তাইওয়ানকে কেউ আলাদা করতে পারবে না’

চীন থেকে তাইওয়ানকে কেউ আলাদা করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। এনডিটিভি, বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে গতকাল মঙ্গলবার শি জিনপিং বলেন, ‘কেউ তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের পুনর্মিলন ঠেকাতে পারবে না। তাইওয়ান প্রণালির দুই পাশের মানুষ একই পরিবারের অংশ। কেউ আমাদের এ আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের মাতৃভূমির পুনরেকত্রীকরণের ঐতিহাসিক ধারাকে বন্ধ করতে পারবে না।’ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে। 

আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং এবং তাইপে দুটি ভিন্নধর্মী জীবনধারার প্রতিনিধিত্ব করে। তাইওয়ান গণতান্ত্রিক দেশ এবং চীন একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্র। সাম্প্রতিক সময়ে বেইজিং তাইপের ওপর চাপ বাড়িয়েছে এবং দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বিশ্বের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তাইওয়ানের নেতা উইলিয়াম লাই চিং-তে গত বছরের মে মাসে দায়িত্ব নেন এবং এরপর থেকে তাইওয়ান দ্বীপের অবরোধসহ তিনটি বড় সামরিক মহড়া করেছে চীনা সেনাবাহিনী। অন্যদিকে তাইওয়ানও জরুরি প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য ‘টেবলেটপ অনুশীলন’ করেছে।

উল্লেখ্য, তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালির পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রেসিডেন্ট জিনপিং বলেছেন, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। এজন্য সামরিক পথে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টিও খোলা রেখেছে বেইজিং।

অন্যদিকে চীনের প্রদেশ নয়, বরং নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে থাকে তাইওয়ান। চীনা প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের জবাবে সে সময় তাইওয়ান জানায়, দেশের ভবিষ্যৎ তার জনগণের হাতেই থাকবে। তবে তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে বেইজিংয়ের চেষ্টার কমতি নেই। তাইওয়ান উপত্যাকার চারদিকে সামরিক কর্মকাণ্ড জোরদার করেছে চীন।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।