স্পিকার পদে জনসনই ট্রাম্পের পছন্দ
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের বর্তমান স্পিকার মাইক জনসনকে স্বপদে বহাল রাখতে চান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার তিনি জনসনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপকে নতুন বছরে রিপাবলিকানদের বিরোধ কমানোর আপাত প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নিজস্ব মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়ে মাইক জনসনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ট্রাম্প। জনসন বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ট্রাম্প লিখেছেন- ‘স্পিকার মাইক জনসন একজন ভালো, কঠোর পরিশ্রমী ও ধর্মপরায়ণ মানুষ। তিনি সঠিক কাজটি করবেন এবং আমাদের জয় অব্যাহত থাকবে। মাইকের প্রতি আমার পূর্ণ অনুমোদন আছে। এমএজিএ (মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন)।’
তবে জনসনের সামনের পথটি কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের পর ৩ জানুয়ারি কংগ্রেসের নতুন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পরবর্তী স্পিকার হিসেবে কাকে ভোট দেওয়া হবে, তা নিয়ে রিপাবলিকান শিবিরে উত্তেজনা চলছে। বর্তমান স্পিকার হিসেবে জনসনই সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে বাজেট বিল পাসের বিষয়ে তার ভূমিকায় রিপাবলিকান ককাসের বিভক্তি প্রকাশ পেয়েছে। তার নেতৃত্বের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
প্রতিনিধি পরিষদে লুইজিয়ানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন জনসন। হাউস স্পিকারের পদে বহাল থাকতে হলে জনসনকে রিপাবলিকানদের সব ভোট পেতে হবে।
এরই মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদের কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য জনসনের নেতৃত্বের বিরোধিতা করেছেন, যেমন কেন্টাকির টমাস ম্যাসি জোরালোভাবে বলে দিয়েছেন যে, তিনি লুইজিয়ানার প্রতিনিধিকে (মাইক জনসন) ভোট দেবেন না।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
জনসনকে নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যে বিরোধের একটি কারণ হলো, দ্বিদলীয় বাজেট বিলের প্রতি জনসনের সমর্থন। ২১ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের শার্টডাউন এড়ানো সম্ভব হয়েছে। বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য এ বিলের বিরোধিতা করেছেন। ম্যাসিসহ আরও কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য একটি ‘স্বচ্ছ’ অর্থবিল পাসের আহ্বান জানিয়েছিলেন।