বছরজুড়ে সিএমভি’র ৩০ চমক
দেশের টিভি নাটককে একধাপ এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে শুরু থেকেই কাজ করে আসছে প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি। ২০২৪ সাল ছিল সেই ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত প্রতিচ্ছবি। প্রতিষ্ঠানটি বছরের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রশংসিত ৩০টি নাটক উপহার দিয়েছে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নাটক ছাড়িয়েছে কোটি ক্লাবের ঘর।
নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন সময়ের শীর্ষ সব অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এই তালিকায় আছেন জোভান, তানজিন তিশা, তটিনী, মুশফিক আর ফারহান, সাফা কবির, ইয়াস রোহান, কেয়া পায়েল, তৌসিফ মাহবুব, নাজনীন নীহা, অর্চিতা স্পর্শিয়াসহ অনেকেই।
নাটকগুলোর মধ্যে ছিল সাজিন আহমেদ বাবুর চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘বউয়ের বাড়ি’, অপূর্ণ রুবেলের চিত্রনাট্যে ইমরাউল রাফাতের ‘হায়রে প্রেম’, সোহাইল রহমানের চিত্রনাট্যে মাশরিকুল আলমের ‘বউ বোঝে না ২’, মিফতা আনানের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘স্বপ্নের বাসর’ ও ‘একবার বলো ভালোবাসি’, শুভ্র আহসানের চিত্রনাট্যে মাশরিকুল আলমের ‘একটাই তুমি’, অবয়ব সিদ্দিকীর চিত্রনাট্যে মাহমুদুর রহমান হিমির ‘সেই তুমি’, ইমরাউল রাফাতের ‘প্রথম প্রেমের মতো’, মিফতা আনানের ‘ও অন্তরা’, মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘তখন যখন’, সাদাত রাসেলের চিত্রনাট্যে তৌফিকুল ইসলামের ‘তুই আমারই’, মানব মিত্রর চিত্রনাট্যে মুরসালিন শুভর ‘শেষ ভালোবাসা’, পাপ্পু রাজের চিত্রনাট্যে তৌফিকুল ইসলামের ‘তোমাতে হারাই’, রুবেল হাসানের ‘সুন্দরী’, ‘গোলাপ গ্রাম’ ও ‘প্রেম এসেছিলো একবার’, প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘মাধবীলতা’, জোবায়েদ আহসানের চিত্রনাট্যে ইমরোজ শাওনের ‘ফ্যামিলি’, আব্রাহাম তামিমের চিত্রনাট্যে রুবেল আনুশের ‘মাস্তান’, অবয়ব সিদ্দিকীর চিত্রনাট্যে তৌফিকুল ইসলামের ‘নূর’, মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘ভিতরে-বাহিরে’, জাকারিয়া সৌখিনের ‘লাভ রেইন’, রুবেল আনুশের ‘ফিদা’, মহিদুল মহিমের ‘অনন্ত প্রেম’, তৌফিকুল ইসলামের ‘হৃদয়জুড়ে তুমি’, জাকারিয়া সৌখিনের ‘রূপকথা’, প্রবীর রায় চৌধুরী ‘লাভ সাব’, মুহাম্মাদ মিফতা আনানের ‘মায়া’, রুবেল হাসানের ‘অবুঝ পাখি’ ও ইমরোজ শাওনের ‘কাপল অব দ্যা ক্যাম্পাস’।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এর মধ্যে ১৭টি নাটক অতিক্রম করেছে কোটি ভিউয়ের ক্লাব। ২ কোটি ভিউ পার করেছে আরও ৪টি নাটক। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, নাটক নির্মাণের প্রতি আন্তরিকতা, দর্শকদের প্রতি ভালোবাসা, সমৃদ্ধ চিত্রনাট্য আর ব্যয়বহুল নির্মাণের কারণেই এমন সফলতা সম্ভব হয়েছে। যা দেশের আর কোনো নাটক নির্মাণ ব্যানারে ঘটেনি ২০২৪ সালে।
সিএমভি’র প্রধান এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, ‘শিল্পী, নির্মাতা, গণমাধ্যম আর দর্শকদের সমর্থন নিয়ে ২০২৪ সাল আমাদের জন্য বেশ স্বস্তির। আমরা চেষ্টা করেছি সাধ্যের চেয়েও বেশি কিছু করে দেখাতে। আমরা স্বপ্ন দেখেছি নাটকটিকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে। আমি বিশ্বাস করি, সেটি পেরেছি। কারণ, লক্ষ্য করবেন আগের মতো আমাদের দর্শকরা এখন আর বিদেশি সিরিয়াল দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকে না। বরং দেশের কোন নাটক কখন প্রকাশ হবে সেই খবরটাই তারা বছরজুড়ে রাখেন। আশার কথা, আমাদের নাটক এখন শুধু দেশের মধ্যেই আটকে নেই, এটি এখন গ্লোবাল। আশা করছি, ২০২৫ সালে বাংলা নাটকের বিশ্বায়নে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হবো।’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
কী সেই চ্যালেঞ্জ কিংবা সারপ্রাইজ, সেটি দেখার জন্য দর্শক-সমালোচকদের অপেক্ষা করতে হবে এক দিনের মাথায় হাজির হওয়া নতুন বছরের জন্য।