টঙ্গিবাড়ীতে সাদপন্থীদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করে মানববন্ধন
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় সাদপন্থী এতাতী সন্ত্রাসী গং কতৃক টঙ্গী ময়দানে নৃশংস হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিচার ও তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে বেতকা ইউনিয়নের উলামায়ে কেরাম ও তাওহীদি জনতা।
গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের নতুন বাজারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। বেতকা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম মুফতি মাওলানা কাউছার আহাম্মেদের নেতৃত্বে সাদপন্থীদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
এ সময় বক্তরা বলেন, ‘ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। ইসলাম প্রচারের একটি বড় মাধ্যম হলো দাওয়াত ও তাবলীগ। দাওয়াত ও তাবলীগ শত বছর ধরে শান্তি পূর্নভাবে তাদের কার্যক্রম করে যাচ্ছে। মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে খারাপ মানুষকে ভালো মানুষে রূপান্তরিত করাই তাবলীগ জামায়াতের কাজ। এই কার্যক্রম ইসলামের শত্রুদের পছন্দ হয়নি তাই জামায়াতের মধ্যে গুপ্তচর ও ষড়যন্ত কারী প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে এবং তারা যাচাই বাছাই করে একজন লোককে ঠিক করেছেন, তিনি হচ্ছে ভারতের সাদ সাহেব।’
তারা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পাসপোর্টে সকল দেশে যাওয়ার অনুমতি থাকলেও ইসরায়েলে যাওয়ার অনুমতি থাকেনা। কিন্তু আমরা জেনেছি, এই সাদ সাহেব বহুবার ইসরায়েল ভ্রমন করেছেন এবং তার দোসর বাংলাদেশে গুন্ডাবাহিনী রয়েছে। তারা ভারতের র' এর সাথে বহুবার বৈঠক করেছে। তা আমরা মিডিয়াতে পেয়েছি। তাদের এ চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় সরল প্রাণ মুসলমানদের এক মিলনমেলা টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে দলমত নির্বিশেষে সকল ধর্মপ্রান মুসলমান একত্রিত হয়। সেই ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতরত অবস্থায় স্বৈরসাশকের সহযোগিতায় ২০১৮ সালে এই সাদ সাহেবের গুন্ডাবাহিনী অসংখ্য মানুষকে লাঠি ও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাত্ত করেছে। স্বৈরাসাশকের পতনের পরে আমরা ভেবেছিলাম, এই সন্ত্রাসী বাহিনীর পতন হবে। কিন্তু তারা ঘাপটি মেরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের মতো চক্রান্ত করে সরকারের সকল সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সমন্ময়কদের সাথে গাদ্দারী করে টঙ্গীর মাঠে অনাধিকার চর্চা করতে গিয়ে অসংখ্য মানুষকে আহত করেছে ও ৪ জনকে জবাই করে হত্যা করেছে। এই বাহিনী কোনো ইসলামের বাহিনী নয়। এই বাহিনী কোনো শান্তি প্রিয় বাহিনী নয়। এরা খুনি বাহিনী। আমরা যেভাবে স্বৈর পতন ঘটিয়েছি, স্বৈরশাসকদের দোসরদেরকেও আমরা এই দেশ থেকে বিতারিত করব ইনশাআল্লাহ।’
এই এলাকায় কোনো মসজিদে যেন সাদপন্থীদের ঢুকতে দেওয়া না হয় এবং সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষনা দেন তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সোনারং মহিলা মাদ্রাসার মহাদ্দেছ মুফতি মেজবা উদ্দিন, সোনারং মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি হাসান জামিল, বেতকা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম মুফতি মাওলানা রকিবুল ইসলাম প্রমুখ।