মৃত্যুর ৩ বছর পর নিজ এলাকায় শায়িত হারিছ চৌধুরী
মৃত্যুর তিন বছর পর অবশেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ এলাকা সিলেটের কানাইঘাটে শায়িত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিছ চৌধুরী। আজ রবিবার বাদ আসর সিলেটের কানাইঘাটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় সাবেক এই বিএনপি নেতাকে।
আজ বিকেলে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ সিলেট শাহী ঈদগাহে নেওয়া হলে তাকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত হন হাজারো নেতাকর্মীরা। সেখানে মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহজালাল দরগাহ মসজিদের খতিব ও ইমাম হাফিজ মাওলানা হুজায়ফা হোসাইন। এ সময় হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী, মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হারিছ চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন তারা।
শাহী ঈদগাহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও দোয়া কামনা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কানাইঘাটে। সেখানে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদর্শনের পর শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা প্রাঙ্গণে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের হুলিয়া মাথায় নিয়ে প্রায় দেড় যুগ আত্মগোপনে থাকার পর ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরী মারা যান। অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে তখন তাকে ঢাকার সাভারে দাফন করা হয়। পরে তার মেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে মরদেহ উত্তোলন ও ডিএনএ পরীক্ষা শেষে হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তার ইচ্ছানুসারে আজ নিজ এলাকা সিলেটের কানাইঘাটের শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপাসরনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দীকি, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সালেহ আহমদ খসরু ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পদাক বদরুজ্জামান সেলিমসহ আরও অনেকে।