দাবি ইশরাকের /

সচিবালয়ের কর্মকর্তারাই আগুন লাগিয়েছেন

অনলাইন ডেস্ক
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:০৭
শেয়ার :
সচিবালয়ের কর্মকর্তারাই আগুন লাগিয়েছেন

আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া উচ্ছিষ্ট সচিবালয় কর্মকর্তাদের সরাসরি অংশগ্রহণে অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

ফেসবুক পোস্টে ইশরাক লেখেন, ‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে জল্পনা কল্পনার কোনো কারণ আমি দেখি না। ’

তিনি লেখেন, ‘হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও, ৫ আগস্টের পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতিকে দিয়ে জুডিসিয়াল ক্যুর চেষ্টা, ১৫ আগস্ট ঘিরে অস্থিরতার চেষ্টা, তৈরি পোশাকখাতে শ্রমিকদের ব্যবহার করে ধারাবাহিক অস্থিরতা তৈরি করা, আনসার বাহিনীর একটি গ্রুপকে সচিবালয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা, হিন্দু ধর্মালম্বী একটি গ্রুপকে মাঠে নামিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা, ব্যাটারি রিকশাচালকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা, কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে লিফলেট ছেড়ে ঢাকার বাইরে থেকে লোক ঢাকায় জড়ো করার চেষ্টা, বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ উসকে দেওয়া, ইন্ডিয়ার সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা প্রচারণা , জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের গুপ্ত হত্যাসহ নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ’

বিএনপির এ নেতা লেখেন, ‘আমি শতভাগ নিশ্চিত এই অগ্নিকাণ্ড পতিত আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া উচ্ছিষ্ট সচিবালয় কর্মকর্তাদের সরাসরি অংশগ্রহণে ঘটানো হয়েছে। সম্প্রতি হাসিনা ও দেশে বিদেশে তার পরিবারের সদস্যদের মেগা দুর্নীতির খবর বিশ্বব্যাপী প্রচার হয়েছে। সেগুলোর আলামত নষ্ট করার জন্যেই এই ঘটনা। ’

তিনি লেখেন, ‘এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমার জনগণ কি করব? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি কিন্তু এই ধরনের সরকার অত্যন্ত দুর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকে। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তাদের একার পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। হয় সরকারকে অবিলম্বে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পরামর্শ ও সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে। না হয় তালিকা তৈরি করে আমাদেরকে এই দোষরদের আটক করে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট মঞ্চ বানিয়ে জুতাপেটা করতে হবে। ’

ইশরাক হোসেন আরও লেখেন, ‘দল যদি কেবল মৌখিক নির্দেশ দেয়, বাংলাদেশের শত্রু এই ভারতীয় রাজাকারদের নাম ভুলায় ছাড়তে দুই-চার দিনের বেশি লাগবে না। এটার জন্যে আমার দক্ষিণ ঢাকা ও পুরান ঢাকার লোকজনই যথেষ্ট।’