চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমরণ অনশন
পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিতে কর্মরত জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বহু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিনা অপরাধে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। ছাত্রজনতার জুলাই বিপ্লবের পর থেকেই নিপীড়িত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাকরি ফেরত পাওয়ার জন্যে শান্তিপূর্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে।
তারই পেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ একটি রিভিউ কমিশন গঠন করে। রিভিউ কমিশন চাকুরিচ্যুত প্রত্যেকের শুনানি শেষে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করলেও অদ্যবধি কোন চাকুরীচ্যূত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকুরিতে পূনর্বহাল করা হয়নি বরং পূনর্বহালের নামে নানান টালবাহানা ও সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে। বর্তমান চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব গ্রহণের চার মাস অতিক্রান্ত ও নতুন বোর্ড গঠন হলেও চাকুরি ফেরৎ না পাওয়ায় দ্রুত প্রাপ্য সকল সুবিধাদি সহ চাকুরিতে পূনর্বহালের দাবিতে আজ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দপ্তরে নিপীড়িত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘আমরন অনশন’ কর্মসূচী পালন করছে।
এ ব্যাপারে চাকুরীচ্যূত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রধান সমন্বয়ক মো. আলাউদ্দিন বলেন, গত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী শক্তি অন্যায়ভাবে এ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে চাকুরীচ্যূত করেছে। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নির্যাতন, নিপীড়ন অসমতা দূর করে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আকাঙ্ক্ষিত বৈষম্য বিহীন বাংলাদেশ গড়া।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
গত ১৬ বছর যারা সীমাহীন দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের পক্ষে দালালী করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, অবৈধ নিয়োগ বানিজ্য এবং পদোন্নতি নিয়েছেন, সে সকল ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো সবাই নানা কৌশলে এ প্রতিষ্ঠানে রয়ে গেছেন। তারাই আজ চাকুরিচ্যুত এ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুর্ণবহালে বাধা সৃষ্টি করছে ও পুনরায় তাদের পদোন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চাকুরীতে পুর্ণবহাল না হওয়া পর্যন্ত কোন আন্দোলনকারী ঘরে ফিরে যাবে না। হয় কর্তৃপক্ষ চাকুরীতে পুর্নবহাল করবেন, না হয় এখানেই আমাদের আত্মাহুতি হবে। তাই সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করে নিরপরাধ চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাপ্য সকল সুবিধাদি সহ চাকুরীতে পুর্ণবহাল করতে তিনি সোসাইটির চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোর দাবী জানান।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?