যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ইসরায়েল ও হামাসের
যুদ্ধবিরতি চুক্তি বিলম্বিত করার জন্য পাল্টাপাল্টি একে অপরকে দোষারোপ করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল।
গতকাল বুধবার টাইমস অব ইসরাইল-এর এক প্রতিবেদনে এ সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে।
এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুদ্ধবিরতি ও বন্দীবিনিময় নিয়ে আলোচনা কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গুরুত্বের সঙ্গে চলমান। তবে দখলদার ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের শর্ত, যুদ্ধবিরতি, বন্দী ও বাস্তুচ্যুতদের বাড়িতে ফিরে আসার বিষয়ে নতুন শর্ত দিয়েছে। এই কারণে চুক্তিতে পৌঁছতে বিলম্ব হচ্ছে।’
সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা নমনীয়তার পরিচয় দিচ্ছে। তবে, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় আলোচনা এগোচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাস মিথ্যাচার করছে, তারা সমঝোতাকে অস্বীকার করছে এবং আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করছে।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘ইসরায়েল তাদের জিম্মি নাগরিকদের মুক্ত করতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ’নিরাপত্তা অঞ্চল ও বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করতে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায় তার দেশ।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
অন্যদিকে গাজা-মিশর সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডোর পরিদর্শনের সময় কাৎজ বলেছেন, ’ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ দলগুলোর দ্বারা ব্যবহৃত টানেল এবং সামরিক অবকাঠামোসহ ভবিষ্যতের হুমকি রোধ করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার ওপর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে ৯৬ জন বন্দী রয়েছে। ইসরায়েলের তথ্য মতে, তাদের মধ্যে ৬২ জন জীবিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা ও স্থল হামলা করে আসছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় এই পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখের বেশি মানুষ।