কাজের মাঝেই অমর হয়ে থাকবেন আবদুল কাদের
অভিনেতা আবদুল কাদেরের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২০ সালের এই দিনে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গুণী এই অভিনেতার প্রতি আমাদের সময়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি। সহশিল্পী ও পরিচালকদের ভাষ্য এ অভিনেতা কাজের মাঝেই অমর হয়ে থাকবেন। আবদুল কাদের ১৯৫১ সালে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুল জলিল ও মা আনোয়ারা খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা এই ব্যক্তির কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে। সিংগাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে শিক্ষকতা করেন। এর পর বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থা এবং ১৯৭৯ সালে আন্তর্জাতিক কোম্পানি বাটায় চাকরি নেন। ১৯৭২ সালে টেলিভিশন ও ১৯৭৩ সালে রেডিও নাটকে অভিনয় শুরু করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অমল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দায় যাত্রা শুরু করেন আবদুল কাদের। থিয়েটারের প্রায় ৩০টি প্রযোজনার সহস্রাধিক প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘স্পর্ধা’, ‘দুই বোন’ ও ‘মেরাজ ফকিরের মা’। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান আবদুল কাদের। তার জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘মাটির কোলে’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘শীর্ষবিন্দু’, ‘সবুজ সাথী’, ‘তিন টেক্কা’, ‘যুবরাজ’, ‘আগুন লাগা সন্ধ্যা’, ‘প্যাকেজ সংবাদ’, ‘সবুজ ছায়া’ প্রভৃতি। আবদুল কাদের অভিনয় করেছেন বড় পর্দাতেও। এর পাশাপাশি বেশকিছু বিজ্ঞাপনের কাজও করেছেন। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি