৫০০০ টাকা বেতন বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন পুড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

ঢাবি প্রতিবেদক
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৩
শেয়ার :
৫০০০ টাকা বেতন বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন পুড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

পোস্টগ্র্যাজুয়েট বেসরকারি প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের বেতন ৫ হাজার টাকা বাড়িরে ৩০ হাজার করে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে তা আগুনে পুড়িয়েছেন প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে ভাতা ৫০ হাজার টাকা না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

আন্দোলনে আসা ডা. শাহবাজ খান বলেন, ‘আমাদের দাবি তো অযৌক্তিক না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই দাবি জানিয়ে আসছি। অথচ সরকার ৫০ হাজার টাকার জায়গায় মাত্র ৫ হাজার বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করেছে। আমরা এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করছি।’

এর আগে বেতন বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে সময় বেধে দেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়ায় কর্মবিরতিও পালন করেন চিকিৎসকরা।

ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ২০২২ সাল থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ২০২৩ সালের জুন মাসে এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ৫ শতাধিক চিকিৎসক। এরপরও বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালের গেটে, শাহবাগে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেছেন, পালন করেছেন গণঅনশন কর্মসূচি।

আন্দোলনের পর গত বছরের জুলাইয়ে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ওই ভাতাও ‘যৌক্তিক নয়’ বলে দাবি করে আসছিলেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এর আগে তারা ২০ হাজার টাকা ভাতা পেতেন। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও ভাতা বাড়ানোর দাবি নিয়ে ট্রেইনি চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হয়।

এদিকে, ট্রেইনি চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে সরকারের ৫ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম। আজ নিজ ফেসবুক একাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের ভাতা মাত্র ৩০ হাজার টাকা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। এটা অন্তত ৪০ হাজার অথবা ৯ম গ্রেড সমমান হওয়া উচিত।’

তিনি আরও লিখেন, ‘কোথায় কখন কতটুকু ইনভেস্ট করতে হবে সেটা যতদিন আমরা না বুঝবো ততদিন দেশের প্রত্যাশিত উন্নতি সম্ভব না। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি।’