আবার চিরকুটে ভাঙনের গুঞ্জন
দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদলগুলো একটি চিরকুট। ২০০২ সালে গড়ে ওঠা দলটিতে ইতিমধ্যেই ভাঙনের মুখে পড়েছে বহুবার। শুরুটা হয় দলের সদস্য পিন্টু ঘোষের বিদায়ের মধ্যদিয়ে। তারপর ইমন চৌধুরীর বিদায় ছিল চিরকুটের জন্য হতাশাজনক এক ঘটনা। দিদার ও নিরবের বিদায় যেন দলটিকে রীতিমতো নিঃসঙ্গ করে দেয়।
এখন দলের পুরোনো সদস্যরা কেউ নেই বললেই চলে। ব্যান্ড থেকে বেরিয়ে তারা গড়েছেন একক ক্যারিয়ার। তবে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যান্ডের হাল ধরে রেখেছেন ভোকাল শারমিন সুলতানা সুমি।
আবারো গুঞ্জন উঠেছে, ভাঙনের মুখে চিরকুট। গেল শনিবার সেই গুঞ্জনের পালে হাওয়া লেগেছে বেশ জোড়েশোরে। আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্টে অংশ নেয় ব্যান্ডদলটি। এদিন ব্যান্ডের হয়ে যারা মঞ্চে বাজিয়েছেন তাদের অনেকেই নতুন।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কনসার্টে ড্রাম বাজিয়েছেন দ্বীপ রায়, ইয়ার হোসেন ছিলেন কিবোর্ডে, গিটারে শুভ্র, ইলেকট্রিক গিটারে দিব্য নাসের আর বেজে ছিলেন ইশমাম ও ম্যান্ডেলিন প্রান্ত।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে তাহলে পুরোনো সদস্যরা কোথায়? তারা কি আছেন, নাকি দল ছেড়ে চলে গেছেন? ব্যান্ডের দলনেতা সুমির কাছে এর কোনো জবাব না মিললেও জানা যায়, নীরবে দল ছেড়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
দলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, চিরকুট ছেড়ে দিয়েছেন অনেক সদস্য। কারণ হিসেবে তিনি জানান, যে যার ক্যারিয়ার গড়তে দল থেকে বেরিয়ে গেছেন। এককভাবে কাজ করলে তারা বরং বেশি লাভবান হন। এ কারণে দলের সঙ্গে কাজ চালিয়ে নেওয়া কঠিন হচ্ছিল তাদের।
বারবার ভাঙার কারণ জানতে চাইলে দলটির সাবেক এক সদস্য বলেন, ‘আমরাই খারাপ। এ কারণে দলে থাকতে পারিনি। আমরা নিজেরা লোভে পড়ে ব্যান্ডের ক্ষতি করেছি। বলা যায়, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে আমাদের দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট দল ভাঙার প্রধান কারণ।’
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’