তৃতীয় শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের কচুয়ায় ৯ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা ও কচুয়া আইডিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল কাজী আসাদকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ছাত্রী ওই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
আজ রবিবার উপজেলার পৌরসভা এলাকার কাজী বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাজী আসাদ খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও কচুয়া পৌরসভাধীন হাট কচুয়া গ্রামের কাজী বাড়ির মৃত কাজী আবদুল ওয়াদুদের ছেলে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা কচুয়া থানায় আজ রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী২০২০) এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ১৫।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কচুয়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ভুক্তভোগী শিশুটি কচুয়া সরকারি পাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। সে মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে আবাসিক ছাত্রী হিসেবে লেখাপড়া করে আসছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শিশুটি খাবার পানি আনার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিচ তলায় গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল কাজী মো. আসাদ উল্যাহ তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শিশুটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার সহপাঠী ও পরিবারকে ধর্ষণের বিষয়ে খুলে বললে শিশুর মা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। শিশুটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে আজ রবিবার শিশুটির মা কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী২০২০) এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা করেন।
কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কচুয়া থানাধীন হাটকচুয়া এলাকা থেকে মামলার আসামি কাজী আসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিধি মোতাবেক যথাযথ পুলিশ পাহারায় বিজ্ঞ আদালতে তাকে হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তর হওয়া কাজী আসাদের এক স্ত্রী তিন ছেলে এক মেয়ে রয়েছে।