উত্তর চরবংশী বিএনপিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দুই নম্বর উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল, তাঁতীদল, ছাত্রদল ও সকল অঙ্গসংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা বিএনপি। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপি জরুরি সভা ডেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
আজ শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু। এর আগে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে আজ শনিবার উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল, তাঁতীদল, ছাত্রদল ও সকল অঙ্গসংগঠনের কমিটি ২০ ডিসেম্বর থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি বিলুপ্তির লিখিত আদেশে স্বাক্ষর করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেডএম নাজমুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সালেহ আহম্মদ, সদস্য সচিব মো. সফিকুর রহমান ভূঁইয়া।
স্থানীয় বিএনপির একটি সূত্র জানায়, এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল, তাঁতীদল ও ছাত্রদলের জরুরি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত কমিটিতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সালেহ আহমেদ, সদস্য সচিব শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের জেলা কমিটির একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই সময় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
তারা জানান, গত ৫ আগস্টের পর মেঘনার চর, মাছঘাট, বাজার ও কাঁচামালের আড়ত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব শামিম গাজী, অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ফারুক কবিরাজ।
রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিসহ অঙ্গসংগঠনের সব কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে দল থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রতিবেদন জমা দেবেন। এরপর জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
