সাদপন্থীদের আ.লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের
বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমির মাওলানা সাদ কান্দলভীর অনুসারীদেরকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তাদের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার হেফাজতের আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
এক বিবৃতিতে এই সংগঠনটি দাবি করেছে, ঢাকার টঙ্গীতে তুরাগ তীরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংঘাতে প্রাণহানির পুরো দায় সাদপন্থীদের। এছাড়া তাদের অভিযোগ, সংবাদমাধ্যম ‘একতরফা সন্ত্রাসী হামলাকে’ ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষ’ হিসেবে দেখিয়ে ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ করেছে।
হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে হেফাজত নেতারা বলেন, ‘আওয়ামী ও ভারতীয় ষড়যন্ত্রমূলক নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে সাদপন্থীদের সমস্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে যখন আমাদের তাবলিগের সাথী ভাইরা গভীর রাতে তাহাজ্জুদ পড়ছিলেন এবং তাদের অনেকেই ঘুমন্ত ছিলেন। ঠিক তখনই চিহ্নিত ‘আওয়ামী দোসর সাদপন্থীরা’ পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে চার জনকে শহীদ করেছে এবং অসংখ্য সাথী ভাইকে আহত করেছে। অথচ এই একপক্ষীয় হামলার এ ঘটনাকে ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষ’ হিসেবে অপপ্রচার চালিয়েছে ‘ভারতের এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত একদল মিডিয়া। নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা অনুযায়ী কোনো ঘটনাকে ‘সংঘর্ষ’ আর কোনো ঘটনাকে ‘হামলা’ বা ‘তাণ্ডব’ বলা কোনোভাবেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উদাহরণ নয়। তাদের অন্তত লজ্জা হওয়া উচিত। এমন নির্লজ্জ হলুদ সাংবাদিকতার আমরা নিন্দা জানাই তীব্র।’
হেফাজত নেতারা বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘‘বিতর্কিত ভারতীয় আলেম মাওলানা সাদের অনুসারী দাবি করে তাবলিগে বিভাজনের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে দ্বীনের মুখোশধারী একদল চিহ্নিত ‘আওয়ামী দোসর’। সাদপন্থীরা ‘আওয়ামী লীগের তাবেদারি করে’ শুধু তাবলিগে বিভাজনই নয়, আলেম-ওলামার বিরুদ্ধেও বিদ্বেষমূলক প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে।’’
আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে তাদের বিচার করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে হেফাজতের আমির ও মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, ‘তখন থেকেই উম্মাহর ঐক্য বিনষ্টকারী এই সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ শুরু হলেও ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের কারণে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাদপন্থী ‘সন্ত্রাসীদের’ সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে টঙ্গীর ময়দানে হত্যায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে বলেও আশা করেন হেফাজতে নেতারা।
এর আগে বিবৃতিতে বিভিন্ন সময় সাদপন্থীদের হামলার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।