আওয়ামী লীগ নেতার পায়ের রগ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় হাজী সেলিম রেজা নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া তার দুই পা, ডান হাত ভেঙে দেওয়াসহ মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার সয়দাবাদ পূর্নবাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সেলিম রেজা গণঅভ্যুত্থানে নিহত যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা ও ২০১৪ সালে যুবদল নেতা জবান আলী হত্যা মামলার আসামি।
আহত সেলিম রেজা সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সায়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য। তিনি একই ইউনিয়নের পূর্বমোহনপুর গ্রামের মৃত হারু সেখের ছেলে।
আহতের ছেলে আব্দুল জলিল বলেন, ‘আজ সকাল ৭টার দিকে ৩০ থেকে ৩৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী পূর্নবাসন এলাকায় আমাদের বাড়ির সামনে থেকে বাবাকে ধরে একটি ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা বাবাকে পিটিয়ে দুই পা, ডান হাত ভেঙে দিয়েছে এবং দুই পায়ের রগ কেটে দিয়ে ও মাথায় কুপিয়ে জখম করে অচেতন অবস্থায় পূর্ববাঐতারা স্কুলের সামনে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধারের পর সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। বর্তমানে তাকে ঢাকার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।’
সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম রাজা বলেন, ‘সেলিম রেজা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সরকার পতনের পর থেকে তিনি পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ৩ দিন আগে তিনি বাড়িতে ফিরেছেন। সেলিম বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কুখ্যাত সন্ত্রাসী সেলিম রেজা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা রঞ্জু ও ২০১৪ সালে নিহত ইউনিয়ন যুবদল নেতা জবান আলী হত্যা মামলার আসামি। সরকার পতনের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। এলাকায় আসার পর স্থানীয় জনতা তাকে ধরে মারধর করার পর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নেই।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, সেলিম রেজাকে মারধরের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।