গার্মেন্টস কারখানার কক্ষে ঝুলছিল নারীর মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২৪
শেয়ার :
গার্মেন্টস কারখানার কক্ষে ঝুলছিল নারীর মরদেহ

রাজধানীর রামপুরা থানা ডিআইটি রোডের মিয়া গার্মেন্টসের একটি কক্ষ থেকে মোছা. শিউলি আক্তার (৩৫) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরের দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতনদের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহমেদুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, নিহত শিউলি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার কাঁঠালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে রামপুরার বউবাজার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। শিউলির পরিবারের অভিযোগ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

আহমেদুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৪৭৫/ই ডিআইটি রোড মালিবাগ চতুর্থতলার মিয়া গার্মেন্টসের একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদহ ময়নাতদন্তে জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

মৃতার ভাই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঐ ভবনে শিউলি গার্মেন্টস নামে ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। সেখানে গার্মেন্টসের কাজের জন্য নারীদের ট্রেনিং দেওয়া হতো। একই ভবনে তুহিন নামে এক ব্যাক্তির একটি টুরস ট্রাভেলস অফিস রয়েছে। শিউলির সঙ্গে তুহিনের ভালো সখ্যতা ছিল এবং অপর আরেটি ব্যাবসায় পাটনার ছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধ হয়েছিল। ঐ সব বিষয় নিয়ে তুহিন তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখতে পারে। যদি সে আত্মহত্যা করে থাকে, তাও তার কারনেই করতে পারে।’

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার প্ররোচনা অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

মৃতার স্বামী ইকবাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার সঙ্গে শিউলির তেমন মিল ছিল না। আমি তার ব্যাবসার ব্যাপারে কোনো খবর রাখতাম না। সেও বলত না। তার মৃত্যুর ব্যাপারে তুহিনসহ দুই ব্যাক্তি জড়িত। কারন সে তাদের সঙ্গে ব্যাবসা করত। তাদের মধ্যে কোনো কিছু ঘটেছে, যার কারনে তার মৃত্যু হয়েছে বা মারা হয়েছে।’