জোর করে অফিস /
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এমডি অবরুদ্ধ
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহকে অবরুদ্ধ করে বহিষ্কৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাকে কারওয়ান বাজারে টিকে ভবনে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ব্যাংকের ৩৩ শাখার ম্যানেজাররা।
এ সময় ম্যানেজাররা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে (মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহ) পুনর্নিয়োগ না দিলেও তিনি জোর করে অফিস করছিলেন।
জানা গেছে, মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক তদন্তে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের পাশাপাশি ব্যাংক ও আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটির এমডি হিসেবে তার পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করা হয়। পাশাপাশি দ্রুত ব্যাংকটিতে একজন নতুন এমডি নিয়োগেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত মাসে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুশনে আরা শিখা।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে এখনো অফিস করছেন শফিক। সেই সঙ্গে তার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পুনরায় আবেদন করেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে তখন শফিক আমাদের সময়কে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ব্যাংক থেকে পুনরায় আবেদন করা হয়েছে। আপাতত নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ব্যাংকটি থেকে তাকে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এমডির অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে
সংশ্লিষ্টরা জানান, শফিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে ব্যাংকটিতে এমডি হিসেবে তার পুনর্নিয়োগ আটকে দিয়ে বিশদ তদন্তের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন ব্যাংকটিতে একজন ভারপ্রাপ্ত এমডি নিয়োগের জন্য ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়।
তবে শফিক তথাকথিত পরিচালনা পর্ষদকে ম্যানেজ করে সে সময় ব্যাংকটিতে ভারপ্রাপ্ত এমডি নিয়োগ করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হন। শুধু তাই নয়, অভিযোগ থেকে পরিত্রাণে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে তদবির করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশদ পরিদর্শনে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তার পুনর্নিয়োগের আবেদন চূড়ান্তভাবে নাকচ করে গত ১৯ নভেম্বর ব্যাংকটির চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানো হয়।