সব ধর্মই বিপরীত ধর্মের মানুষকে সম্মান করতে শেখায়

সাক্ষাৎকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
সব ধর্মই বিপরীত ধর্মের মানুষকে সম্মান করতে শেখায়

নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে তার নির্মিত সিনেমা ‘নয়া মানুষ’।

এই সিনেমা ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে ‘নয়া মানুষ’-এর আগে কি কোনো সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন?

আমার মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। যদিও এর আগে কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

পরিচালক হিসেবে কাজটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

বাংলাদেশে নতুন বা পুরনো যে কোনো পরিচালকের জন্য সিনেমা নির্মাণ করা কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। কারণ এই দেশে সিনেমা নির্মাণ করা পাপ।

সিনেমায় এমন ধর্মভিত্তিক গল্প বেছে নেওয়ার কারণ কী?

ধর্ম নিয়ে এই দেশে বাণিজ্য করা হয়, কিন্তু প্রকৃত ধর্ম প্রচার করা হয় না, পালন করা হয় না। ধর্মকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়, ফলে এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে ছোট করে অত্যাচার করে, কিন্তু সব ধর্মই বিপরীত ধর্মের মানুষকে সম্মান করতে শেখায়।

সমাজে এ সিনেমার কাহিনি কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন?

সারা পৃথিবীতে এখন ধর্মযুদ্ধ চলছে, আমাদের সমাজেও একই অবস্থা। এই সিনেমা দেখার পর দর্শকদের মানবিক গুণ পুনরুদ্ধার হবে। মানুষ হিসেবে তাদের কী দায়িত্ব, তা বুঝতে পারবে এবং পালন করতে পারবে।

সিনেমার শুটিংয়ের সময় সাইক্লোন সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে পড়েছিলেন...

সিত্রাং যে হবে তা আমি আগে থেকেই জানতাম এবং সে অনুযায়ী শুটিং ডেট লক করি। আমি যখন প্রবল সিত্রাং-এর দৃশ্য ধারণের কথা ট্রলারচালককে বললাম, সে তখন বলল, আপনি মরলে আমার কিছু যায় আসে না, কিন্তু আমার ট্রলারের ক্ষতি হলে তা পূরণ করে দিতে হবে।

দর্শক কি সিনেমা দেখার জন্য এখন হলমুখী হচ্ছেন?

দর্শকদের সিনেমা দেখার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে তাদের হলে ডাকার কোনো মানে হয় না। তবে নিজের আত্মপরিচয় খুঁজে পেতে মানুষ ‘নয়া মানুষ’ দেখবে।

ভবিষ্যতে বড় কোনো কাজ করার কী চিন্তাভাবনা আছে?

আমার কাছে প্রতিটি কাজই বড়, একটা মিউজিক্যাল সিনেমা বানাতে চাই।

সিনেমা নিয়ে কিছু বলার আছে?

সিনেমাকে মায়ের মতো ভালোবাসি, কিন্তু বাংলাদেশে কত দিন সিনেমা টিকে থাকবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।