মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে তেঁতুলিয়ায়, ৯ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা পাঁচদিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে করে শীত দূর্ভোগ পোহাচ্ছে সীমান্ত পদের মানুষ। হাড়কাঁপছে তীব্র শীতে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে শীত অঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষগুলো পোহাচ্ছে দূর্ভোগ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলো।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় উত্তরের এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
স্থানীয়রা বলছেন, সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচণ্ড শীত পড়েছে এ অঞ্চলে। এলাকাটি হিমালয়ের নিকটস্থ হওয়ায় উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত হিমেল হাওয়ায় বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। রাতভর প্রবাহিত হচ্ছে বরফের মতো ঠাণ্ডা। গত ৫দিন ধরে ১০ ডিগ্রীর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ডের মধ্য দিয়ে উত্তরের হিমাঞ্চল জেলা পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গ্রামগুলোতে খড়কুটো,কাগজের কাটন, টায়ার জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা যায় দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলোকে। তবে বেলা বাড়তে থাকলে কেটে যায় কনকনে শীতের প্রভাবও।
এদিকে ঝলমলে রোদ দেখা মিলছে সকাল থেকেই। ভোর থেকে রোদ উঠে যাওয়ায় বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। সকাল সকাল কাজে বেড়িয়ে পড়েছেন দিনমজুর,পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, কৃষক থেকে বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শীতে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত ৫ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এবং জানুয়ারিতে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে এবং একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।