দেশে কারা সংখ্যালঘু, জানালেন হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা বাংলাদেশ ধারণায় বিশ্বাস করে না, তারাই সংখ্যালঘু।
আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘সাতচল্লিশ-একাত্তর-চব্বিশ: আমাদের বিজয় পরিক্রমা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এ আয়োজন করে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতার প্রয়োজনে সংখ্যালঘু কার্ড খেলেছে। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই। সংখ্যালঘু তারাই, যারা বাংলাদেশ ধারণায় বিশ্বাস করে না। দেশে কেউ ধর্মীয় বা জাতিগত কারণে সংখ্যালঘু হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাতচল্লিশে যদি বিজয় হতো, তাহলে একাত্তর হতো না, একাত্তরে বিজয় হলে চব্বিশ হতো না। এটা হলো, আমাদের বিজয় পরিক্রমা। এটা আসলে বিজয়ের পরিক্রমা না, প্রতারণার পরিক্রমা। আমরা যে জাতি হিসেবে প্রতারিত হয়েছি, সেই পরিক্রমা।’
বিজয় দিবস নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ট্যাটসের বিষয়টি উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘তিনি ইন্ডিয়ার বিজয় বলে দাবি করছেন। যদি এটা ভারতের বিজয় হয়ে থাকে, তাহলে একাত্তরে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছে তারা সঠিক ছিল? যদি তা না হয়, তাহলে ভারত মিথ্যাচার করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এর আগের বিজয় দিবসগুলোতে রাহুল গান্ধী, নরেন্দ্র মোদির স্ট্যাটাস দেখেছি। তারা সবসময়ই বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে তাদের বিজয় দিবস বলে দাবি করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে এর কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। তারা নিজেরাই আমাদের বিজয়ের ট্রফি ভারতের হাতে তুলে দিয়ে এসেছে। একাত্তর যে আমাদের, এই দাবি করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ভারত আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলে প্রতিষ্ঠা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচ আগস্টের পর থেকেই সংবিধান নাই, রাষ্ট্রপতি নাই। যে রাষ্ট্রপতির বৈধতা নাই, সেই রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে আমার যাওয়া মানে নিজের সঙ্গে প্রতারণা। যারা আজ রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে গেছেন, তারা হয়তো এই বিপ্লবের চেতনায় বিশ্বাস করেন না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মানুষের কলম, মগজকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যখনই মানুষ কথা বলতে চেয়েছে, তারা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।ঢাবি ছাত্রশিবির সভাপতি সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদের সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জার্মানির হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনয়েদ, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার প্রমুখ।’