রাজনীতিবিদ-আমলা-ব্যবসায়ীর যোগসাজশেই জ্বালানি-বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৩
শেয়ার :
রাজনীতিবিদ-আমলা-ব্যবসায়ীর যোগসাজশেই জ্বালানি-বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি হয়েছে

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী—এই তিন পক্ষের যোগসাজশেই জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিনিময় ছাড়া কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়নি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও পিএম অফিসের একক ক্ষমতার কারণেই এসব দুনীর্তির বিস্তার হয়েছে।’

আজ শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ড. ম. তামিম। ছায়া সংসদটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হলে দুনীর্তি কমানো সম্ভব। এস আলম ও সামিট গ্রুপের মত প্রতিষ্ঠানগুলির দুর্নীতি অনুসন্ধানে ফরেনসিক স্ক্রুটিনি প্রয়োজন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) দেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠান। এই অস্বচ্ছতার পেছনে বিগত সরকারের স্বার্থ জড়িত ছিল। লস দেখিয়ে উচ্চমূল্য নির্ধারণের জন্যই প্রতিষ্ঠানটিকে অস্বচ্ছ রাখা হতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিন দিনের মধ্যে কোনো আলাপ-আলোচনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে আদানির সাথে বিদ্যুৎ চুক্তি করা হয়। আদানির সঙ্গে চুক্তিটি অসম। এ ক্ষেত্রে শতভাগ ক্যাপাসিটি চার্জ পেমেন্টের পরেও ৪০ ভাগ আরও অতিরিক্ত বিদ্যুতের মূল্য দিতে হয়। এই চুক্তিটি পুণঃবিবেচনা করা দরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে মাফিয়াদের আইনের আওতায় না আনলে মাফিয়াতন্ত্র দমন হবে না।’

ড. ম. তামিম বলেন, ‘নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করে কমিশনের লোভেই এলএনজির দিকে ঝুঁকে পড়া ছিল ভুল উদ্যোগ। জবাবদিহিতাকে এড়ানোর জন্য বিগত সরকার গণশুনানির পরিবর্তে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণ করতো, যা ছিলো অস্বচ্ছ।’

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির জন্য বিগত সরকারের রাজনীতিবিদ অপেক্ষা আমলারাই বেশি দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।